আজেরবাইজেন: বিতর্কিত নাগোর্নো-কারাবাখ নিয়ে আর্মেনিয়া এবং আজেরবাইজনের মধ্যে দীর্ঘ সময়ের লড়াই। সেই লড়াই যেন থামার নয়। এবার দুই দেশের মধ্যে মধ্যস্থতা করতে এগিয়ে এল রাশিয়া। বিতর্কিত জমি নিয়ে দুই দেশের মধ্যে শান্তি আলোচনার ডাক দিয়েছিলেন রাশিয়ান প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। সেই শান্তি আলোচনায় অংশ নেওয়ার জন্য প্রস্তুত দুই দেশ, জানা গেছে এমনটাই।
রাশিয়ান বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা এক আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, ইতিমধ্যেই দুই দেশের সঙ্গে কথা হয়েছে, তারা মস্কোতে শান্তি আলোচনায় অংশ নিতে রাজি। আপাতত দুই দেশের প্রতিনিধিদের সেখানে আনার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। মূলত দুই দেশের বিদেশমন্ত্রী এই আলোচনায় অংশগ্রহণ করবেন। আজ রাতেই এই শান্তি আলোচনার জন্য বৈঠক বসার কথা।
এর আগে এক সাংবাদিক বিবৃতিতে রাশিয়ান প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন জানিয়েছিলেন, মস্কোয় শান্তি নিয়ে আলোচনার এই বৈঠকের জন্য আজেরবাইজন এবং আর্মেনিয়ার বিদেশ মন্ত্রীদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে মস্কোয়ে। তারা সেই আমন্ত্রণপত্র গ্রহণ করেছেন। ইতিমধ্যেই বিতর্কিত জমি নিয়ে দুই দেশের লড়াইয়ে বেশ কয়েকজনের প্রাণনাশ হয়েছে। অবশ্য মৃত্যুর সংখ্যা ১০০ ছাড়িয়েছে বলে খবর। সেই প্রেক্ষিতে এই লড়াই থামানো খুবই জরুরী।
আজেরবাইজেনের প্রেসিডেন্ট ইলাম আলিয়েভ, আর্মেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী নিকোল পাসিয়ান এবং রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মধ্যে ইতিমধ্যেই কথা হয়েছে টেলিফোনের মাধ্যমে। চলতি দ্বন্দ্বের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে তিনজনের মধ্যে বলে জানা গিয়েছে। আপাতত, যুদ্ধে সাময়িক বিরতি রেখে মানবিকতার খাতিরে দুই দেশের মধ্যে মৃতদেহ আদান প্রদানের বিষয়ে জোর দিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। একইসঙ্গে মস্কোয়ে শান্তি চুক্তির জন্য বৈঠকে আসার আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।
আজারবাইজানের আওতায় পড়লেও, নাগোর্নো-কারাবাখে আর্মেনিয়ানদের শাসন, এই নিয়ে দুই দেশের মধ্যে তীব্র বাদানুবাদ। এমনকি আর্মেনিয়ার তরফে জানানো হয়েছে, এই বিতর্কিত জায়গায় ঐতিহাসিক গির্জা ধ্বংস করেছে আজারবাইজান। সে নিয়ে এখন তীব্র বিতর্ক।