মালদহ: এক আশা কর্মী করোনা পজিটিভ হওয়া সত্ত্বেও জেনেশুনে তাঁকে আজ ভোটকেন্দ্রে ডিউটিতে যেতে বাধ্য করা হয়েছে! এমনই বিস্ফোরক অভিযোগ করছিল শিক্ষক শিক্ষাকর্মী শিক্ষানুরাগী ঐক্য মঞ্চ। এবার সেই আক্রান্ত আশা কর্মী নিজে জানালেন যে, জোর করেই তাঁকে কাজে পাঠানো হয়েছে! এক্ষেত্রে সরাসরি বিডিওর দিকে আঙুল তুলেছেন তিনি। পাশাপাশি জানিয়েছে, প্রশাসনকে বলেও কোনও সুরাহা হয়নি।
আক্রান্ত আশা কর্মী বলছেন, করোনা সংক্রমণের রিপোর্ট নিয়ে ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক, বিডিও সকলের কাছে গিয়েও কোনও লাভ হয়নি, উলটে তাঁকে হুমকি দেওয়া হয়েছে ডিউটি করতে হবে বলে! ফলে বাধ্য হয়ে করোনা সংক্রমণ নিয়েও তিনি কাজে এসেছেন বলে জানিয়েছেন। যদিও এক্ষেত্রে উলটো দাবি করছে কমিশন। তাদের বক্তব্য, ওই আশাকর্মী সংক্রমিত জেনে গতকালই অন্য একজনকে সেখানে ভোটের ডিউটির জন্য নিয়োগ করা হয়েছিল। তারপরেও ওই আশাকর্মী আজ কীভাবে ভোটের ডিউটি করছেন, তা জানা যায়নি। সাফাই দেওয়া হয়েছে, তাঁকে সরিয়ে দেওয়ার যে নির্দেশ, সেটা হয়তো তাঁর কাছে সময় মতো পৌঁছয়নি।
উল্লেখ্য, ওই আশাকর্মীর বাড়ি মালদা শহরে৷ নাম ভারতী পাল৷ তিনি পুরাতন মালদা ব্লকে কর্মরত৷ জ্বর ও কাশির উপসর্গ নিয়ে তিনি গত ২৪ এপ্রিল মৌলপুর গ্রামীণ হাসপাতালে নিজের লালারস পরীক্ষা করান৷ ২৬ এপ্রিল রিপোর্ট পজিটিভ আসে৷ মালদা কেন্দ্রের ১৭০ নম্বর বুথে ওই আশা কর্মীকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে৷