কলকাতা: স্বাস্থ্য দফতরের নয়া নির্দেশিকা জারি হল করোনা নিয়ে। নির্দেশিকা জারি করে জানিয়ে দেওয়া হল, সামান্যতম করোনা উপসর্গ থাকলেও রোগীকে ভর্তি নিয়ে নিতে হবে। ‘রেফার’ করা যাবে না। করোনার উপসর্গ স্পষ্ট। কিন্তু হাতে রিপোর্ট নেই। এসব ক্ষেত্রে বেশিরভাগ রোগীকেই চরম হয়রানির মুখে পড়তে হচ্ছিল। একের পর এক হাসপাতাল ঘুরেও মিলছিল না চিকিৎসা, বেড। ‘রেফার’ করেই দায় সারছিল একাধিক হাসপাতাল। তাই এবার কড়া পদক্ষেপ নিল স্বাস্থ্য দফতর। লিখিত নির্দেশিকা জারি করে জানিয়ে দিল, সামান্যতম করোনা উপসর্গ থাকলেও রোগীকে ভর্তি নিয়ে নিতে হবে। রেফার করা যাবে না। গুরুতর অসুস্থ হলে তো রেফারের কোনও প্রশ্নই ওঠে না।
নতুন নির্দেশিকা অনুযায়ী, কোনও রোগী করোনা উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে এলে দ্রুত তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি নিতে হবে এবং জরুরি ভিত্তিতে চিকিৎসা করানোর ক্ষেত্রে র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট করাতে হবে। অ্যান্টিজেনের রিপোর্ট নেগেটিভ আসার পরেও যদি চিকিৎসকের কোনও সন্দেহ থাকে তবে আরটি-পিসিআর পরীক্ষা করা যেতে পারে। এর আগে এই রেফার নিয়ে নিজের ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার সেই প্রেক্ষিতেই নির্দেশিকা জারি করল রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। ইতিমধ্যেই ‘আংশিক’ লকডাউন জারি করা হয়েছে সরকারের তরফে। করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে ভোট পরবর্তী ক্ষেত্রে সতর্কতা দেখাচ্ছে রাজ্য।
প্রসঙ্গত, শেষ পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘন্টায় রাজ্যে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ থেকে মুক্ত হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১৩ হাজার ৯৩২ জন মানুষ। হ্যাঁ তবে একই সময় আক্রান্তের সংখ্যা ১৭ হাজার ৪১১। মৃত্যু হয়েছে ৯৬ জনের। দৈনিক সংক্রমণ এবং মৃত্যু আপাতত সর্বোচ্চ হলেও শত আতঙ্কের মধ্যেও এটা মানতেই হবে যে সুস্থতার সংখ্যাও বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং সুস্থতার হারও। নবান্নের তরফে যে বুলেটিন প্রকাশ করা হয়েছে সেখানে উল্লেখ রয়েছে, এখনো পর্যন্ত রাজ্যে মোট ৭ লক্ষ ৩ হাজার ৩৯৮ জন ভাইরাস সংক্রমণ থেকে মুক্ত হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। তবে আপাতত মোট অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যা ১ লক্ষ ১৩ হাজার ৬২৪ জন।