কলকাতা: জয় কার্যত নিশ্চিত তৃণমূল কংগ্রেসের। গত দু’মাস ধরে তৃণমূল নেতাদের ২০০ পার-এর সুরকে সত্যি করেই বাংলায় তৃণমূল কংগ্রেস ২০০-এরও বেশি আসন জিতে মসনদে যাওয়ার পথে জোড়াফুল শিবির। বাংলায় ঝড়ের মত উঠতে থাকা বিজেপি হাওয়াকে স্তব্ধ করে দিয়ে ‘খেলা শেষ’-এর পথে তৃণমূল। গোটা দেশের অন্যতম শক্তিশালী বিরোধী নেত্রী হতে চলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ‘বাংলার মেয়ে’ মমতার ক্যারিশ্মার সামনে খড়কুটোর মত উড়ে গেল নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহের কূটনীতি। শেষ পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, তৃণমূল কংগ্রেস এগিয়ে রয়েছে ২১৪টি আসনে এবং বিজেপি এগিয়ে রয়েছে ৭৬টি আসনে।
কিন্তু বিপুল পরিমাণে তৃণমূলের বিরুদ্ধে গেরুয়া ঝড় ওঠা সত্ত্বেও কিভাবে এলো এই ঐতিহাসিক সংখ্যাগরিষ্ঠ জয়? বিশেষজ্ঞদের মতে, ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে যেমনভাবে রাজ্যের বামদের ভোটের একটা বড় অংশ বিজেপিতে গিয়ে পড়েছিল, একুশের বিধানসভা নির্বাচনেও সেরকম ভাবে বামেদেরই একটা বড় শতাংশের ভোট এবারে তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষে গিয়েছে। অন্যদিকে কার্যত ভোটের ময়দানে একটু নিঃশ্বাস ফিরে পেতে খাবি খেয়েছে বাম-কংগ্রেস-আইএসএফ-এর সংযুক্ত মোর্চা। রাজ্যের দুই তিনটি কেন্দ্র বাদ দিলে প্রায় সব জায়গাতেই দূরবীন দিয়েও খুঁজে বেড়াতে হচ্ছে সংযুক্ত মোর্চার প্রার্থীদের।
আবার অনেক বিশেষজ্ঞদের মতে, অধিকাংশ কেন্দ্রে বাম-বিজেপির ভোট কাটাকাটিতে লাভবান হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। অনেক কেন্দ্রেই ফেভারিট হিসেবে নির্বাচনী যাত্রা শুরু করেছিল সংযুক্ত মোর্চার বাম কিংবা কংগ্রেস প্রার্থীরা। সেখানে কিছুটা পিছিয়ে ছিল তৃণমূল কংগ্রেস ও বিজেপি। কিন্তু বিজেপির সঙ্গে মোর্চার ভোট কাটাকাটিতে বিপুল ভোটে এগিয়ে গিয়েছে তৃণমূল। কোথাও কোথাও জিতেও গিয়েছে।