BJP বিপর্যয়ের পর ফের বঙ্গে নাড্ডা, যাবেন নিহত কর্মীদের বাড়িতে

BJP বিপর্যয়ের পর ফের বঙ্গে নাড্ডা, যাবেন নিহত কর্মীদের বাড়িতে

f8020fabbcc78df7c0ae4c3005468453

কলকাতা:  তখন সবেমাত্র বঙ্গ ভোটের উষ্ণ হাওয়া বইতে শুরু করেছে৷ তবে থেকেই রাজ্যে আনাগোনা শুরু হয়েছিল বিজেপি’র সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার৷ এর পর প্রায় ডেইলি প্যাসেঞ্জারি করেছেন তিনি৷ কিন্তু ভোটের ফলে ভরাডুবি হয়েছে গেরুয়া শিবিরের৷ বিধানসভার বিপর্যয়ের পর ফের রাজ্যে আসছেন বিজেপি’র সর্বভারতীয় সভাপতি৷

আরও পড়ুন- ‘তৃণমূল নেতাদেরও দিল্লি আসতে হবে’, হুমকি BJP MP-র, টুইটে সরব রাজ্যপাল

এদিকে ফল প্রকাশিত হওয়ার পর থেকেই রাজ্যজুড়ে শুরু হয়েছে ভোট পরবর্তী হিংসা৷ বিভিন্ন জায়গায় বিজেপি কর্মীদের উপর আক্রমণের অভিযোগ উঠেছে৷ এমনকী  বিজেপি’র ৬ কর্মীকে খুন করা হয়েছে বলেও গেরুয়া শিবিরের অভিযোগ৷ রাজ্যজুড়ে সবুজ দাপটের মাঝেই মঙ্গলবার দুপুরে দু’দিনের বঙ্গ সফরে এলেন জেপি নাড্ডা৷ জানা গিয়েছে, ভোট পরবর্তী সন্ত্রাসে আহত ও নিহত কর্মীদের সঙ্গে দেখা করতেই বঙ্গে আসছেন তিনি৷ এদিকে বুধবার তৃণমূলের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ তুলে দেশজুড়ে বিক্ষোভের ডাক দিয়েছে পদ্ম শিবির৷    

মঙ্গলবার দুপুর দেড়টা নাগাদ কলকাতা বিমান বন্দরে নামেন নাড্ডা৷ এখান থেকে সরাসরি নিহত কর্মীদের বাড়িতে যাবেন তিনি৷ দুপুর ৩টে নাগাদ প্রথমে যাবেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার সোনারপুরে এক নিহত দলীয় কর্মীর বাড়িতে৷ এরপর সাড়ে চারটে নাগাদ বিজেপি’র সর্বভারতীয় সভাপতি যাবেন বেলেঘাটায়। সেখানে অপর এক নিহত দলীয় কর্মীর পরিবারের সঙ্গে দেখা করবেন তিনি৷ এদিকে, রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে রাজ্যের কাছে রিপোর্ট তলব করেছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক৷ 

অন্যদিকে রাজ্য পুলিশের ডিজি ও কলকাতা পুলিশ কমিশনারকে ট্যাগ করে টুইট করেন রাজ্যরাল জগদীপ ধনকর৷ তিনি লেখেন, ‘‘অকারণ রাজনৈতিক হিংসা, গুণ্ডামি, লুঠপাট, খুনের ঘটনা বন্ধ হোক৷ এটা গণতন্ত্রের লজ্জা৷ প্রবাসী বাঙালিরা আইনশৃঙ্খলার অবনতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন৷ শুধু বাংলাতেই নির্বাচন পরবর্তী হিংসা কেন? গণতন্ত্রের উপর এই আঘাত কেন?’’

আরও পড়ুন- পায়েল, শ্রাবন্তীদের টিকিট দিয়েছিল কে? ‘নগরীর নটীদের’ তুলোধনা তথাগতর

অন্যদিকে রীতিমতো হুমকির সুরে টুইট করে বিজেপি সাংসদ পরভেজ সাহিব সিং বলেন, ‘‘নির্বাচনে জিতেই তৃণমূলের গুণ্ডারা আবার আমাদের কর্মীদের খুন করছে৷ বিজেপি কর্মীদের গাড়ি ভাঙচুর করা হচ্ছে৷ আগুন লাগিয়ে দেওয়া হচ্ছে তাঁদের ঘরে৷ মনে রাখবেন তৃণমূলের সাংসদ, বিধায়ক, মন্ত্রীদের কিন্তু দিল্লি আসতে হবে৷ আমি আপনাদের সতর্ক করছি৷ নির্বাচনে হার-জিত হতেই পারে৷ কিন্তু খুন নয়৷
 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *