কলকাতা: ভোট পরবর্তী হিংসার পরিস্থিতি সরোজমিনে বাংলায় এসেছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জয়প্রকাশ নাড্ডা। অভিযোগ অনুযায়ী তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের দ্বারা আক্রান্ত বিজেপি কর্মীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে খোঁজ নিচ্ছেন তিনি। তার সঙ্গে রয়েছেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ, মুকুল রায়, রাহুল সিনহা, লকেট চট্টোপাধ্যায় প্রমুখরা। সোনারপুরে এক আহত বিজেপি কর্মীর বাড়িতে গিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হলেন নাড্ডা। সদ্য নির্বাচনে জিতে সরকার গড়তে চলা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূলকে নিশানা করে জানালেন, “বাংলার আইনশৃঙ্খলা একেবারে ভেঙে পড়েছে। বাংলায় ন্যায় প্রতিষ্ঠার জন্য লড়বে বিজেপি।”
মঙ্গলবার দুপুরে ভোট-পরবর্তী হিংসার শিকার হওয়া বিজেপি কর্মীদের দেখতে এসে কলকাতা বিমানবন্দরে নামেন জেপি নাড্ডা। সেখানেই বিমানবন্দরের ভিতরে বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ, মুকুল রায়, লকেট চট্টোপাধ্যায়, রাহুল সিনহার সঙ্গে এই পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠক করেন নাড্ডা। তারপর সেখান থেকে সোজা চলে যান সোনারপুরের গোপালনগরে। সেখানে দুষ্কৃতীদের হামলায় আহত বিজেপি কর্মীদের বাড়িতে যান দলের সর্বভারতীয় সভাপতি। কথা বলেন বাড়ির পরিবার-পরিজনদের সঙ্গে। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে নাড্ডা জানান, “ফলাফল ঘোষণার পর তৃণমূলের গুন্ডারা বিজেপি কর্মী হরণ অধিকারীর বাড়িতে যায়। সেখানে মারধর করে ভাঙচুর চালায় তারা। বাচ্চা ও মহিলাদের হুমকি দেয়। মারধরের জেরে হরণের স্ত্রীর দাঁত ভেঙ্গে যায়। এরপর হরণকে টেনেহিঁচড়ে বাড়ির বাইরে বার করে নিয়ে এসে তুমুল মারধর করে গুন্ডারা। তৎক্ষণাৎ মারা যায় সে।”
বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি আরও জানান, “রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা ভেঙে পড়েছে। তৃণমূল ভোটে জিতে আবার তোলাবাজি শুরু করেছে। বাংলায় মহিলাদের কোনও সম্মান নেই। মমতা দিদির রাজত্বকালেই বাংলায় সবচেয়ে বেশি ধর্ষণ হয়েছে। সবচেয়ে বেশি সন্ত্রাস ছড়িয়েছে এখানে। মমতা দিদির শাসনেই মহিলারা সবচেয়ে অ-সুরক্ষিত। ভোটের ফলাফলের পরেই বিজেপি কর্মীদের ঘরে ঢুকে খুন করছে তৃণমূলের গুন্ডারা। আমি বলতে চাই, ভারতীয় জনতা পার্টির প্রতিটি কর্মচারীর সঙ্গে দল রয়েছে। তাদের পাশে আমরা আছি। আমরা প্রত্যেক আক্রান্ত ও নিহত কর্মচারীর বাড়িতে যাবো। তাদের পরিবারের সঙ্গে কথা বলে তাদের আশ্বস্ত করব। ভারতীয় জনতা পার্টি প্রজাতান্ত্রিক পদ্ধতিতে লড়তে জানে। আমরা ভয় পাই না।”