কলকাতা: বিজেপি করা নিকট আত্নীয়কে বাঁচাতে গিয়ে দুষ্কৃতীদের হাতে হাঁসুয়ার কোপ খেলেন সিপিএম করা এক মহিলা। ২ মে রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশিত হওয়ার পর বল্গাহীন সন্ত্রাস দমনে পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছে প্রশাসন। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সন্ত্রাসের অভিযোগের তীর শাসকদলের দিকে। যদিও তৃণমূল পাল্টা অভিযোগ জানিয়েছে বিজেপির বিরুদ্ধে।
এরই মাঝে সিপিএম নিয়ন্ত্রিত সারা ভারত গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতির পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য কমিটির বিবৃতি চোখে পড়ার মত। তারা জানিয়েছে, বিধানসভা নির্বাচনের ফল বেরোনোর পরেই তৃণমুলের জয়োল্লাসের বলি হয়েছেন জামালপুরের মহিলাকর্মী কাকলি ক্ষেত্রপাল। নিরাপরাধ কাকলি নির্বাচনে সংযুক্ত মোর্চার পোলিং এজেন্ট ছিলেন, তৃণমুল বাড়ি ভাঙচুর করতে এলে সে বাধা দিতে গেলে তাঁকে হাঁসুয়ার কোপে খুন করে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা। এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন সারা ভারত গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতির পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য কমিটির সভানেত্রী অঞ্জু কর ও সম্পাদিকা কনীনিকা ঘোষ।
মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতি বলেছে, সারা রাজ্য জুড়ে তৃণমূল যে তান্ডব চালাচ্ছে, ইতিমধ্যেই তাতে নিহত হয়েছেন কাকলি ক্ষেত্রপাল, আইএসএফ কর্মী হোসেনুর রহমান সহ ১১ জন মানুষ। সংযুক্ত মোর্চার নেতৃত্ব, প্রার্থী, কর্মীদের বাড়ি ভাঙা হচ্ছে, তাঁদের আক্রমণ করা হচ্ছে, অথচ মাননীয়া মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নীরব। তাঁরা অবিলম্বে এই ধ্বংসলীলা বন্ধ করার জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন, দুষ্কৃতীদের কঠোর শাস্তি দাবি করেছেন এবং রাজ্যের সমস্ত শুভবুদ্ধি সম্পন্ন মানুষকে এই ঘটনার প্রতিবাদ করার আহ্বান জানিয়েছেন।
ঠিক কী ঘটেছিল? স্থানীয় সূত্রের খবর, কাকলি ক্ষেত্রপাল ওই এলাকায় সিপিএম কর্মী। মহিলাকর্মী হিসাবে সুপরিচিত। ভোটের দিনও মোর্চার বুথে কাজ করেছেন। সম্ভবত ওঁর ভাশুরের ছেলে অথবা পরিবারের কেউ বিজেপি করে। তৃণমূলী দুষ্কৃতীরা বাড়িতে হামলা করার সময় উনি রান্না করছিলেন। উনি রুখে দাঁড়ালে ওরা ওঁকেই হাঁসুয়া দিয়ে কুপিয়ে খুন করে। ওই এলাকায় ভয়ানক পরিস্থিতি ফলাফলের দিন রাতে তৈরি হয়েছিল। কেন্দ্রীয় বাহিনী গোটা গ্রাম ঘিরে রেখেছে। সিপিএমের পক্ষ থেকে মীনাক্ষী, দীপিসিতা ধর এলাকায় যাবেন কাকলি ক্ষেত্রপালের পরিবারের সঙ্গে কথা বলতে।