কলকাতা: তৃতীয়বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রথম ঘোষণা করেছিলেন যে এই সরকারের প্রথম কাজ হবে রাজ্যের করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা। সেই প্রেক্ষিতে ইতিমধ্যেই কাজ করা শুরু করে দিয়েছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। টিকাকরণ নিয়ে বড় ঘোষণা ইতিমধ্যেই করে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানান, পরিবহণ ক্ষেত্রে কর্মরক কর্মী, হকার এবং সংবাদ মাধ্যমে কাজ করা ব্যক্তিদের অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে টিকা দেওয়া হবে। উল্লেখ্য, ক্ষমতায় আসার পর প্রথম সাংবাদিক বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাংবাদিকদের ‘কোভিড যোদ্ধা’ ঘোষণা করেছিলেন। এদিন তিনি জানালেন, পরিবহণকর্মী, সাংবাদিক ও হকারদের আগে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে, কারণ এরাই মানুষের সঙ্গে বেশি মেলামেশা করেন।
কোভিড পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এ দিন একগুচ্ছ সিদ্ধান্তের কথা জানালেন তিনি। মুখ্য সচিব, স্বাস্থ্য সচিবদের সঙ্গে বৈঠকের পর একাধিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সাংবাদিক বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, এবার থেকে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে৷ সরকারি অফিসে ৫০ শতাংশ হাজিরার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার৷ পাশাপাশি পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত সম্পূর্ণ বন্ধ থাকবে সমস্ত শপিং মল, শপিং কমপ্লেক্স, বিউটি পার্লার, সিনেমা হল, রেস্তোরাঁ, বার, জিম, স্পা, সুইমিংপুল৷ আংশিক লকডাউন জারি থাকবে রাজ্যজুড়ে৷
এছাড়াও সামাজিক, সাংস্কৃতিক এবং বিনোদন সংক্রান্ত সমাবেশ করা যাবে না৷ করা যাবে না রাজনৈতিক সমাবেশ৷ বিয়ে বাড়ি বা অন্য কোনও অনুষ্ঠানে ৫০ জনের বেশি লোক আমন্ত্রণ করা যাবে না৷ চলবে আংশিক লকডাউন৷ সকাল ৭টা থেকে ১০টা এবং বিকেল ৫টা থেকে ৭টা পর্যন্ত দোকান খোলা থাকবে৷ এছাড়া আগামী কাল থেকে সমস্ত লোকাল ট্রেন বন্ধ থাকবে৷ রাজ্যের পরিবহণ ব্যবস্থাও ৫০ শতাংশ করা হবে৷ কলকাতা, বাগডোগড়া এবং অন্ডাল বিমানবন্দরে কোভিড রিপোর্ট ছাড়া আসা যাবে না৷ লাগবে আরটি-পিসিআর টেস্টের রিপোর্ট৷ ভুয়ো রিপোর্ট ধরতে ব়্যানডাম টেস্ট করা হবে বলেও জানান তিনি৷