কলকাতা: নির্বাচন পর্ব মিটতেই রাজ্য সরকার রাজ্য প্রশাসনের শীর্ষ পদে কয়েকটি রদবদল করেছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আজ নবান্নে বলেন, বীরেন্দ্রকে ডিজি পদে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। কমিশনের নির্দেশে এই পদে থাকা নীরজনয়ন পান্ডেকে ডিজি ফায়ার করা হয়েছে। উল্লেখ্য, বীরেন্দ্র চলতি মাসেই কর্ম জীবন থেকে অবসর গ্রহণ করবেন। পাশাপাশি জাভেদ শামীমকে আবার এডিজি আইন শৃঙ্খলা পদে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। তার জায়গায় থাকা জগমোহনকে এডিজি সিভিল ডিফেন্স করা হয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন। পুরুলিয়ার জেলাশাসককেও বদলি করা হচ্ছে। সেখানকার জেলাশাসক অভিজিৎ মুখোপাধ্যায়কে কম্পালসারি ওয়েটিং-এ পাঠানো হল। তার জায়গায় নতুন জেলাশাসক হলেন রাহুল মজুমদার।
নির্বাচন কমিশন দায়িত্ব নেওয়ার পর যে বদলগুলি করা হয়েছিল, সেগুলিই মূলত আগের মতো করে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন তৃতীয়বার মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিয়ে নবান্নে পৌঁছেই দুটি উচ্চপর্যায়ের বৈঠক করেন মমতা। একটি করোনা পরিস্থিতি নিয়ে, অন্যটি রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা নিয়ে। বৈঠকের পরেই এই সিদ্ধান্ত। উপরিউক্ত সিদ্ধান্ত ছাড়া সরানো হয়েছে পূর্ব মেদিনীপুরের জেলা শাসক স্মিতা পাণ্ডেকে৷ ওয়েবেলের ম্যানেজিং ডিরেক্টর পদে নিয়ে যাওয়া হয়েছে তাঁকে। নতুন জেলা শাসক হয়েছেন পূর্ণেন্দু মাজি।
ফল ঘোষণার পর থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হিংসার খবর উঠে আসছে৷ বিভিন্ন জায়গায় সংঘর্ষে জড়িয়েছে তৃণমূল বিজেপি৷ ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে রাজ্যপালের সঙ্গে কথা বলেছেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী৷ এর পরেই টুইট করেন রাজ্যপাল৷ এদিন অবশ্য শপথ গ্রহণ করেই রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা নিয়ে কড়া বার্তা দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রাজ্যের কোভিড পরিস্থিতি মোকাবিলাই আমার কাছে আগ্রাধিকার৷ দ্বিতীয় অগ্রাধিকারে রয়েছে রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা৷ তিনি বলেন, ‘‘সমস্ত রাজনৈতিক দলের কাছে শান্তি-শৃঙ্খলা ও সংহতি বজায় রাখার জন্য আবেদন জানাচ্ছি৷ ‘বাংলা অশান্তি পছন্দ করে না৷ আমি নিজেও অশান্তি চাই না৷’’ রাজ্যে যাতে কোনও হিংসা না হয়, সেই আর্জি জানিয়ে মমতা বলেন, ভোট পরবর্তী হিংসা অনেক জায়গাতেই হয়ে থাকে৷ তবে আজ থেকে আইন-শৃঙ্খলার দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নিলাম৷ কঠোর হাতে এই পরিস্থিত মোকিবিলাই হবে আমার দ্বিতীয় কাজ৷”