কলকাতা: রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের চতুর্থ দফায় মারাত্মক ঘটনা ঘটে গিয়েছিল কোচবিহারের শীতলকুচিতে। কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে মৃত্যু হয়েছিল ৪ জন ভোটারের। সেই ঘটনার প্রেক্ষিতে উত্তাল হয়ে ছিল রাজ্য রাজনীতি এবং একে অপরের দিকে আঙ্গুল তুলছিল তৃণমূল কংগ্রেস এবং ভারতীয় জনতা পার্টি। এখন নির্বাচন শেষ হয়ে গিয়েছে এবং বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় এসেছে তৃণমূল কংগ্রেস। এখন সেই শীতলকুচি কান্ডের তদন্তকারী অফিসারকে ভবানী ভবনে তলব করল সিআইডির সিট।
খবর পাওয়া গেছে, শীতলকুচি কান্ডে যিনি তদন্তকারী অফিসার ছিলেন তাকে সিআইডির বিশেষ তদন্তকারী দল অর্থাৎ সিট তলব করেছে। মাথাভাঙা থানার তদন্তকারী অফিসারকে তলব করা হয়েছে তাদের তরফে। ডিআইজি সিআইডি কল্যাণ মুখোপাধ্যায় নেতৃত্বে চার সদস্যের একটি বিশেষ দল গঠন করেছে সিআইডি এই ঘটনার তদন্তের জন্য। তারাই শীতলকুচি কাণ্ডের তদন্তকারী ভবানীভবনে তলব করেছে। পরবর্তী ক্ষেত্রে ওই মাথাভাঙা থানার অফিসার ইনচার্জকেও তলব করা হতে পারে। শীতলকুচি কাণ্ড নিয়ে বিজেপি সরাসরি দায়ী করেছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উস্কানিমূলক মন্তব্যকে। পরে কোচবিহারের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থীর সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একটি ফোনালাপ ভাইরাল করে তারা। যার প্রেক্ষিতে পরিস্থিতি আরও সরগরম হয়। কিন্তু আখেরের কোন লাভ করতে পারেনি বিজেপি। বাংলার নির্বাচনে কার্যত ধরাশায়ী হয়েছে তারা।
যে অডিও টেপ ভাইরাল হয়েছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সেই টেপে শোনা গিয়েছিল যে তিনি কোচবিহারের পুলিশ আধিকারিকদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেবেন ভোটের পরে। সেই প্রেক্ষিতে ইতিমধ্যেই পদক্ষেপ নেওয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। যদিও বিজেপির দাবি ছিল, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের যেভাবে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ঘিরে ধরে রাখার বিধান দিয়েছিলেন তার প্রেক্ষিতেই সেখানে গন্ডগোল হয়েছে এবং কেন্দ্রীয় বাহিনীকে আক্রমণ করা হয়েছিল। যদিও পরবর্তী ক্ষেত্রে শীতলকুচি যে ভিডিও প্রকাশ্যে আসে সেখানে এই ধরনের কোন ঘেরাও বা গন্ডগোল চোখে পড়েনি। তাই অবশ্যই ভাবে বলা যায় এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত বিতর্ক তৈরি করে রেখেছে। আদতে সেখানে কী হয়েছিল তা এখনও স্পষ্ট ভাবে জানা যায়নি।