কলকাতা: দেশের প্রথম প্রেক্ষাগৃহ হিসেবে টিকাকরণ কেন্দ্র হতে চলেছে কলকাতার প্রিয়া সিনেমা হল। দক্ষিণ কলকাতার জনপ্রিয় শীততাপ নিয়ন্ত্রিত সিনেমা হলে এবার চলবে টিকাকরণ কর্মসূচি। টিকা নেওয়ার জন্য আসা মানুষেরা অপেক্ষা করতে পারবেন শীততাপ নিয়ন্ত্রিত প্রেক্ষাগৃহে। দেখানো হবে জনপ্রিয় সব চলচ্চিত্রও। সব ঠিক থাকলে চলতি মাসের মাঝামাঝি সময় থেকেই শুরু হবে এই কর্মসূচি।
দেশ তথা রাজ্যে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ বইছে। সঠিক পরিকল্পনা ছাড়াই টিকাকরণ নিয়ে দেখা দিচ্ছে অসুবিধা। বেশিরভাগ জায়গাতেই আকাল পড়েছে করোনার ভ্যাকসিনের। এই অবস্থায় নিজের প্রেক্ষাগৃহকে টিকাকরণ কেন্দ্রে রূপান্তরিত করার কথা ভেবেছেন প্রিয়া সিনেমা হলের কর্ণধার তথা অভিনেতা অরিজিৎ দত্ত। তিনি জানিয়েছেন, “আমি নিজে টিকা নিতে গিয়ে দেখেছি মানুষকে যথেষ্ট কষ্ট পেতে হচ্ছে। সবচেয়ে বেশি অসুবিধার মধ্যে পড়ছেন প্রবীণরা। গরমের মধ্যে লাইনে দাঁড়িয়ে টিকা নিয়ে আবার ভিড়ের মধ্যে পর্যবেক্ষণের জন্য অপেক্ষা করছেন।” আর তাই কিছু সংখ্যক মানুষের কষ্টও যাতে লাঘব করা যায় সেই কথা ভেবেই নিজের প্রেক্ষাগৃহকে টিকাকরণ কেন্দ্র বানানোর পরিকল্পনা অরিজিতের।
দক্ষিণ কলকাতার দেশপ্রিয় পার্কের জনপ্রিয় প্রেক্ষাগৃহের কর্ণধার আরও জানিয়েছেন, “মেডিকা হাসপাতালের সঙ্গে প্রাথমিকভাবে কথাবার্তা হয়েছে। আপাতত হাসপাতালে যথেষ্ট পরিমাণ টিকা নেই। সবকিছু ঠিক থাকলে চলতি মাসের মাঝামাঝি সময় থেকে টিকাকরণ শুরু হবে।” অরিজিত জানিয়েছেন, প্রেক্ষাগৃহের একদম নিচে নাম নথিভুক্ত করার জায়গা থাকবে। সেখানে নাম নথিভুক্ত করে মানুষ গরমের মধ্যে লাইনে না দাঁড়িয়ে শীততাপ নিয়ন্ত্রিত সিনেমা হলের ভেতরে গিয়ে বসতে পারেন। সেখানে ওই সময়ে চলবে জনপ্রিয় কয়েকটি সিনেমা। উপরতলায় দেওয়া হবে টিকা। সেখান থেকে টিকা নিয়ে পর্যবেক্ষণের জন্য তারা ফের ঠান্ডা হলে এসে বসতে পারেন। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, টিকাকরণের যাবতীয় দায়িত্ব সমস্তই হাসপাতালের। হাসপাতাল থেকে যে মূল্যে টিকা দেওয়া হয় এখানেও সেই মূল্য একই থাকছে। তবে শীততাপ নিয়ন্ত্রিত প্রেক্ষাগৃহে বসানো ও ছবি দেখানোর যাবতীয় খরচ কে দেবে তা এখনও আলোচনা সাপেক্ষ। এই নিয়ে অরিজিৎ জানিয়েছেন, “সেটা খুবই সামান্য অর্থ। একা বহন করতেও অসুবিধা হবে না।”