কলকাতা: আজ বিধানসভায় বিরোধী দলনেতা হিসাবে নির্বাচিত হয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী৷ এর পরেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন তিনি৷ সঙ্গে ছিলেন বঙ্গ বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ এবং শমীক ভট্টাচার্য৷ সেখানে জানতে চাওয়া হয় শুভেন্দুর পরবর্তী লক্ষ্য কী? এর জবাবে তিনি বলেন, ‘‘লক্ষ্য আমার ব্যক্তিগত নয়৷ ভারতীয় জনতা পার্টি সরকার গড়ার লক্ষ্যে এগিয়ে যাবে৷’’
আরও পড়ুন- বিধানসভায় ডেপুটি স্পিকার পদে এবার প্রাক্তন কৃষিমন্ত্রী আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়
পাশাপাশি তিনি বলেন, প্রধান বিরোধী দল হিসাবে আমরা হিংসামুক্ত গণতান্ত্রিক বাংলা গড়ে তুলতে চাই৷ ভারতের সংবিধানে যে বহু দলীয় গণতন্ত্রের কথা বলা আছে তাকে প্রতিষ্ঠা করতে চাই৷ ফর দা পিপল, বাই দা পিপল, অফ দা পিপলের জায়গায় এখন ‘ফর দা পার্টি, বাই দা পার্টি, অফ দা পার্টি হয়ে গিয়েছে৷ এই ব্যবস্থা নিরসন করে হিংসামুক্ত বাংলা গড়াই আমাদের প্রথম লক্ষ্য৷ তাঁর কথায়, যে ভাবে নর সংহার চলছে, যে ভাবে প্রান্তিক মানুষ, তফশিলি-আদিবাসী ও পিছিয়ে পড়া মানুষদের সর্বস্ব লুঠ করা হয়েছে, তা সবার আগে বন্ধ করতে হবে৷ তিনি বলেন, যাঁরা পদ্মফুলকে ভোট দিয়েছেন, তাঁদের জনপ্রতিনিধি হিসাবে আমি শিষ্ঠাচার ও সংশোধীয় রীতিনীতি মেনে লড়াই করব৷
বিধানসভার অধিবেশনে যোগদান প্রসঙ্গে শুভেন্দু বলেন, অধিবেশনে গঠনমূলক আলোচনায় নিশ্চিত ভাবে অংশ গ্রহণ করব৷ সেখানে অত্যাচারের বিরুদ্ধে সোচ্চার প্রতিবাদ হবে৷ সেটা নিয়ে কোনও দ্বিধা নেই৷ তবে যে ভাবে হিংসা সন্ত্রাস হচ্ছে, তাতে মিষ্টি মিষ্টি কথা বলে ভাব বিনিয়ম করার মতো মানসিক পরিস্থিতি কোনও বিজেপি বিধায়কের ছিল না৷ সে কারণেই শনিবার বিধানসভায় যাইনি আমরা৷
আজ ২২ জন দলীয় বিধায়কের সম্মতিতে বিধানসভার বিরোধী দলনেতা নির্বাচিত হয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী৷ কিন্তু সভায় উপস্থিত ছিলেন ৫২ জন৷ তাহলে বাকিদের কি মত? এ প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, সর্বসম্মতি ক্রমেই শুভেন্দু অধিকারীকে নির্বাচিত করা হয়েছে৷ বাকি বিধায়করাও জানিয়ে দিয়েছেন, দল যা নির্ণয় নেবে, সেটাই তাঁদের মত৷ শুভেন্দু বলেন, বিকল্প কোনও নাম না আসা মানেই তো সর্বসম্মতিক্রমে এই সিদ্ধান্ত৷