কলকাতা: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জানিয়ে দিয়েছিলেন যে ক্ষমতায় আসার পর তিনি শীতলকুচি কাণ্ডের পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করবেন। সেই প্রেক্ষিতে ইতিমধ্যেই তৎপরতা দেখাতে শুরু করেছে সিআইডি। এবার ওই ঘটনায় তদন্তের প্রেক্ষিতে সেইদিন নির্দিষ্ট বুথে থাকা কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের তলব করল রাজ্যের তদন্তকারী সংস্থা। জানা গিয়েছে, তাদের থেকে সেই দিনের ঘটনার বিস্তারিত বিবরণ চান তদন্তকারী অফিসাররা। জোড়পাটকির ১২৬ নম্বর বুথে থাকা সিআইএসএফ অফিসার সহ ৬ জনকে তলব করা হয়েছে সিআইডির তরফে।
সিআইডি যাদের তলব করেছে তাদের মধ্যে রয়েছেন, সেক্টর অফিসার, এএসআই রফা বর্মন এবং কিউআরটি টিমের অফিসার সুব্রত মণ্ডল। সিআইএসএফ দফতরে চিঠি দিয়ে তাঁদের মঙ্গলবার ভবানীভবনে ডেকে পাঠানো হয়েছে। উল্লেখ্য, সোমবার সিআইডির নির্দেশ মেনে ভবানীভবনে হাজিরা দিয়েছেন মাথাভাঙা থানা আইসি। তাঁকে অনেকক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এবার তলব করা হল জওয়ানদের। যদিও করোনা ভাইরাস পরিস্থিতির জন্য তারা সশরিরে উপস্থিত থাকতে চান না বলে জানিয়েছিলেন। যদিও সিআইডি সেই আবেদন নাকচ করেছে। রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের চতুর্থ দফায় মারাত্মক ঘটনা ঘটে গিয়েছিল কোচবিহারের শীতলকুচিতে। কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে মৃত্যু হয়েছিল ৪ জন ভোটারের। সেই ঘটনার প্রেক্ষিতে উত্তাল হয়ে ছিল রাজ্য রাজনীতি এবং একে অপরের দিকে আঙ্গুল তুলছিল তৃণমূল কংগ্রেস এবং ভারতীয় জনতা পার্টি।
শীতলকুচি কাণ্ড নিয়ে বিজেপি সরাসরি দায়ী করেছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উস্কানিমূলক মন্তব্যকে। পরে কোচবিহারের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থীর সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একটি ফোনালাপ ভাইরাল করে তারা। যার প্রেক্ষিতে পরিস্থিতি আরও সরগরম হয়। কিন্তু আখেরের কোন লাভ করতে পারেনি বিজেপি। বাংলার নির্বাচনে কার্যত ধরাশায়ী হয়েছে তারা। যে অডিও টেপ ভাইরাল হয়েছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সেই টেপে শোনা গিয়েছিল যে তিনি কোচবিহারের পুলিশ আধিকারিকদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেবেন ভোটের পরে। সেই প্রেক্ষিতে ইতিমধ্যেই পদক্ষেপ নেওয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। যদিও বিজেপির দাবি ছিল, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের যেভাবে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ঘিরে ধরে রাখার বিধান দিয়েছিলেন তার প্রেক্ষিতেই সেখানে গন্ডগোল হয়েছে এবং কেন্দ্রীয় বাহিনীকে আক্রমণ করা হয়েছিল। যদিও পরবর্তী ক্ষেত্রে শীতলকুচি যে ভিডিও প্রকাশ্যে আসে সেখানে এই ধরনের কোন ঘেরাও বা গন্ডগোল চোখে পড়েনি।