কলকাতা: মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার পর এই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছিলেন যে এই সরকারের প্রথম কাজ হবে রাজ্যের করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ। সেই প্রেক্ষিতে ইতিমধ্যেই একাধিক পদক্ষেপ নেওয়া শুরু করে দিয়েছে রাজ্য সরকার। আর এবার রাজ্যের করোনাভাইরাস পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য এগিয়ে এল একাধিক পুজো কমিটি। জানানো হল, ক্লাব বা কমিউনিটি হলে তৈরি হবে সেফ হোম অথবা অক্সিজেন বুথ।
এদিন নবান্নে মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর সাংবাদিক বৈঠক করেন রাজ্যের মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানান, এবার থেকে করোনাভাইরাস পরিস্থিতি মোকাবিলায় উদ্যোগী হয়েছে একাধিক পুজো কমিটি। সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে ক্লাব এবং কমিউনিটি হলে তৈরি হবে সেফ হোম, অথবা অক্সিজেন পার্লার। ইতিমধ্যেই এই বিষয়ে কাজ করা শুরু হয়ে গিয়েছে বলে জানানো হয়েছে। এর পাশাপাশি তিনি আরো জানান, আগমি দু মাসের মধ্যেই অক্সিজেন প্লান্ট বসানো হবে এবং ৬০০০ নতুন অক্সিজেন সিলিন্ডারের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। প্রতিটি পঞ্চায়েত এবং পুর এলাকায় অন্তত একটি অ্যাম্বুল্যান্স এবং শববাহী যান রাখার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। রাজ্যবাসীকে আশ্বস্ত করে তিনি আরও বলেন, ১৮ থেকে ৪৫ বছর বয়সীদের জন্য করোনা মোকাবিলায় মেডিসিনের সমস্যা মিটেছে। অন্যদিকে, CCU নার্স নিয়োগের জন্য ইন্টারভিউ নেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। ২১০ টি ভেন্টিলেটর যেখানে বেশী প্রয়োজন সেখনে পাঠানো হচ্ছে বলেও অবগত করেন মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়।
এদিন মুখ্যসচিব টিকা সংক্রান্ত ব্যাপারে জানান, যাঁরা প্রথন ডোজ পেয়েছেন এবং বেসরকারি হাসপাতালে নিয়েছিলেন, তারা সরকারি খরচে দ্বিতীয় ডোজ পাবেন। বেসরকারি হাসপাতালের সমস্ত তথ্য নিয়ে সরকার দেবে ভ্যাকসিন। অযথা যাতে কেউ চিন্তা না করেন তা জানিয়েছেন তিনি। জানান, সরকারের অধীনে থাকা হাসপাতালগুলিতে পাওয়া যাবে টিকা। সরকারি হাসপাতালে যাঁরা প্রথম ডোজ নিয়েছেন তাঁরা অযথা চিন্তা করবেন না। সকলকেই দ্বিতীয় ডোজ পাবেন।