হিংসা কবলিত এলাকা পরিদর্শনে নন্দীগ্রামে রাজ্যপাল, দেখা করলেন শুভেন্দু

হিংসা কবলিত এলাকা পরিদর্শনে নন্দীগ্রামে রাজ্যপাল, দেখা করলেন শুভেন্দু

নন্দীগ্রাম: ভোট পরবর্তী হিংসা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে আজ নন্দীগ্রামে পৌঁছন রাজপাল জগদীপ ধনকড়। ইতিমধ্যেই নন্দীগ্রামের পরিস্থিতি সরেজমিনে খতিয়ে দেখে গিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের প্রতিনিধি দল। কোচবিহারের পর শনিবার পূর্ব মেদিনীপুরের  নন্দীগ্রামে পা রাখেন রাজ্যপাল। এদিন হরিপুর হেলিপ্যাড ময়দানে অবতরণ করে তাঁর চপার। রাজ্যপালকে স্বাগত জানাতে সেখানে উপস্থিত ছিলেন নন্দীগ্রামে বিধায়ক তথা রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। হিংসায় কবলিত এলাকাগুলি পরিদর্শনের পাশাপাশি সেখানকার মানুষদের সঙ্গেও কথা বলেন জগদীপ ধনকড়৷ 

আরও পড়ুন- রাত ৯টে থেকে ভোর ৫টার মধ্যে অযথা রাস্তায় বেরলেই আটক করবে পুলিশ

এদিন নন্দীগ্রামের একাধিক এলাকা পরিদর্শন করেন রাজ্যপাল৷ ভোট পরবর্তী সন্ত্রাসে আক্রান্তদের সঙ্গে নিজে কথা বলেন তিনি৷ পাশাপাশি নন্দীগ্রামের মানুষের পাশে থাকার আশ্বাসও দেন রাজ্যপাল৷ শাসক দলের তরফে তাঁকে অপসারণের দাবি যতই সোচ্চার হোক না না কেন, তিনি ততটাই দৃঢ় তাঁর নিজের কাজে৷ রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত বঙ্গ রাজনীতিতে নতুন নয়৷ নতুন করে সরকার গঠন হওয়ার পরেও সেই ধারা অব্যাহত রয়েছে৷ জেলা সফরে গিয়ে প্রতিনিয়ত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করছেন তিনি৷ 

এর আগে রাজ্যের সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়েই কোচবিহারের রওনা হয়েছিলেন রাজ্যপাল৷ বিজেপি সাংসদ নিশীথ প্রামাণিককে সঙ্গে নিয়ে পরিদর্শন করেন হিংসা কবলিত এলাকা৷ পরের দিন তিনি যান অসমের শ্রীরামপুর৷ সেখানকার ক্যাম্পে আশ্রয় নেওয়া বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে দেখা করেন তিনি৷ আর আজ পৌঁছন নন্দীগ্রামে৷ এখানে তাঁকে স্বাগত জানাতে উপস্থিত ছিলেন খোদ শুভেন্দু৷ রাজ্যপালের সঙ্গে কথা বলেন বিরোধী দলনেতা৷ প্রসঙ্গত, একুশের ভোটে হাইভোল্টেজ কেন্দ্র ছিল এই নন্দীগ্রাম৷ এই কেন্দ্রেও ভোট পরবর্তী অশান্তির খবর মিলেছে। কোচবিহার-অসম সফর সেরে তাই নন্দীগ্রামেই পা রাখলেন জগদীপ ধনখড়। এই পদক্ষেপ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তথা রাজ্য সরকারের সঙ্গে তাঁর সংঘাত যে আরও চরম মাত্রায় নিয়ে যাবে, তা নিশ্চিত বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

এদিন নন্দীগ্রামে টোটো চেপে হিংসা কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেন রাজ্যপাল৷ ক্ষতিগ্রস্তদের বাড়িতেও যান তিনি৷ এদিকে, সৌগত রায় বলেন, পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিতে রাজ্যপাল সবচেয়ে হাস্যকর লোক৷ কেউই তাঁর কথা গুরুত্ব দিয়ে দেখে না৷ আজ শুভেন্দু অধিকারীও বলেছেন, বিজেপি’র কোনও লোক রাজ্যপালের সঙ্গে থাকবে না৷ উনি বিজেপি’র লোকদের সঙ্গে নিয়ে ঘুরছিলেন৷ ওঁনার এই সময় উচিত ছিল কোভিড নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করা আর মানুষকে সচেতন করা৷ 
 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

nineteen − 8 =