কলকাতা: নারদ মামলায় মদন মিত্র, ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, ও শোভন চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে মামলায় তাঁদের অন্তর্বর্তী জামিন মঞ্জুর করল আদালত। এমনই নির্দেশ দিলেন সিবিআই বিশেষ আদালতের বিচারক অনুপম মুখোপাধ্যায়। শর্তসাপেক্ষে জামিন মঞ্জুর হয়েছে। ৫০,০০০ টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে জামিন মঞ্জুর হয়েছে সকলের। তবে জানান হয়েছে, রাজ্যের বাইরে যেতে পারবেন না কেউই।
আদালতে ধৃতদের পক্ষে সওয়াল করেন তৃণমূল সাংসদ তথা আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। সিবিআই পক্ষের আইনজীবী যুক্তি দেখান, ধৃতরা বাইরে বেরিয়ে প্রমাণ নষ্ট করে দিতে পারেন। ধৃতদের আইনজীবীরা পাল্টা যুক্তি দেখান, ফিরহাদ কলকাতা পুরসভার প্রধান প্রশাসক। সাম্প্রতিক কোভিড পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য তাঁকে প্রয়োজন। অবশেষে আদালত সকলের শর্তসাপেক্ষ অন্তর্বর্তী জামিন মঞ্জুর করে। এদিকে জানা গিয়েছে, সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতের এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হতে চলেছে সিবিআই তদন্তকারী আধিকারিকরা। আগামীকাল কলকাতা হাইকোর্টে এই ৪ জনের জামিন খারিজের আবেদন করা হবে।
আজ নারদা মামলায় ধৃত ৫ জনের নামে চার্জশিট পেশ করেছিল সিবিআই। আইপিসি ১০৯ ধারা, দুর্নীতিদমন আইনের ১১, ১৩, ১৩ 1B উপধারায় মামলা রুজু করেছে সিবিআই। প্রায় ঘণ্টাখানেকের ভারচুয়াল শুনানি শেষ। অনলাইনেই পেশ হয় চার্জশিট। শুনানি চলাকালীন সিবিআইয়ের এসপি সওয়াল করলে তা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন অভিযুক্তদের আইনজীবীরা। প্রভাবশালী তত্ত্বে চারজনের জামিনের আবেদন খারিজের যুক্তি পেশ করা হয়েছিল সিবিআইয়ের তরফে। এমনকি ধৃতদের ১৪ দিন জেল হেফাজতের আবেদন পর্যন্ত করা হয়। এই প্রেক্ষিতে আদালত সিবিআইকে প্রশ্ন করে, চার্জশিট পেশের পর অভিযুক্তদের জেল হেফাজত চাই? সিবিআইয়ের তরফে জানানো হয়, ধৃতরা প্রত্যেকেই প্রভাবশালী। তাদের জেল হেফাজতে না রাখলে তথ্যপ্রমাণ নষ্ট করতে পারে।