কলকাতা: ঘূর্ণিঝড় ‘তকত’-এর পর এবার ‘যশ’। আগামী বুধবার প্রবল শক্তিতে ওড়িশা ও বাংলার দক্ষিণ উপকূলে দীঘা-শঙ্করপুরে আছড়ে পড়তে পারে ঘূর্ণিঝড় ‘যশ’। এমনটাই জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতরের তরফে৷ সে ক্ষেত্রে গত বছরের আমফানের মতো ‘যশে’র শক্তি থাকবে কি না, নিশ্চিত ভাবে ঝড় বাংলার দিকে আছড়ে পড়বে কি না, সে বিষয়ে সরকারি ভাবে কোনও তথ্য পাওয়া যায়নি৷ এখনও পর্যন্ত কোনও সতর্কতা জারি হয়নি৷
গত দু’দিন ধরেই বঙ্গোপসাগরে নতুন এক ঘূর্ণিঝড় তৈরির সম্ভাবনা দেখছেন আবহাওয়াবিদরা। গত তিন-চার দিন ধরে দেশের পশ্চিমে মহারাষ্ট্র, গোয়া, গুজরাটের উপকূলে ধ্বংসলীলা চালিয়েছে ঘূর্ণিঝড় ‘তকত’। সেই ছবি সংবাদমাধ্যমে দেখে শিউরে উঠেছে দেশের মানুষ। এবার দেশের পূর্ব উপকূলে তৈরি হচ্ছে ঘূর্ণাবর্ত৷ আশঙ্কা, কয়েকদিন ধরেই বঙ্গোপসাগরে ধীরে ধীরে শক্তি বাড়াচ্ছে নতুন একটি ঘূর্ণাবর্ত৷ তা ধাপে ধাপে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিয়ে বাংলার দিকে এদিয়ে আসে কি না, সে দিকে কড়া নজর রাখছেন হাওয়া অফিসের কর্তারা৷
আশঙ্কা, নিম্নচাপ থেকে গভীর নিম্নচাপ হয়ে ঘূর্ণাবর্তের নিচে পারে৷ আগামী শনিবার ২৩ মে সম্পূর্ণ ভাবে তৈরি হয়ে যেতে পারে এই ঘূর্ণিঝড়৷ আগামী সপ্তাহের বুধবার নাগাদ উড়িশার উপকূলে আছড়ে পড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে৷ প্রভাব পড়তে পারে দীঘা-শঙ্করপুরেও। আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, এই ঘূর্ণিঝড়ের ফলে আন্দামান ও নিকোবরে নির্ধারিত সময়ের ২-১ দিন আগেই ঢুকে যেতে পারে বর্ষা৷ তবে, ঘূর্ণিঝড় ‘যশ’কে নিয়ে অহেতু আতঙ্কিত হওয়ার কোনও কারণ নেই৷ পরিস্থিতির উপর নজর রাখতে শুরু করেছে প্রশাসন৷ তোমন কোনও সতর্কতা জারি হলে, নির্দিষ্ট সময় তা জানিয়ে দেবে প্রশাসন৷
দেখুন পূর্বভাস-https://www.windy.com/?2021-05-26-06,21.749,88.374,5