কলকাতা: ৯ টি রাজ্য এবং একটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মোট ৫৪ জেলার করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ে আজ বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বাংলার ৯ টি জেলা ছিল এই বৈঠকের তালিকায়। ভার্চুয়াল বৈঠকে ১০ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের ডাকা হয়। যদিও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানাচ্ছেন, বৈঠকে একটিও কথা বলতে দেওয়া হয়নি, মুখ্যমন্ত্রীদের পুতুলের মত বসিয়ে রাখা হয়েছে। শুধু প্রধানমন্ত্রী নিজে ভাষণ দিয়ে গেছেন, অত্যন্ত ক্যাজুয়াল বৈঠক হয়েছে। এই শুধু এই কেন্দ্র সরকারের ব্যাপক সমালোচনা করেছেন তিনি।
মমতা এ দিন জানান, প্রধানমন্ত্রী একাধিক রাজ্যের করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠক ডাকার পর সেই সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের কোন কথা শোনেননি। একজন মুখ্যমন্ত্রীকে কথা বলতে দেওয়া হয়নি সেই কারণে তাঁরা সকলে অপমানিত বোধ করেছেন। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর পুতুলের মত শুধু বসে ছিল। কাউকে কথা বলতে দেওয়া হয়নি। যদি কেউ কথা বলতে না পারে তাহলে জনমানুষের চাহিদা সম্পর্কে জানাবে কী করে, প্রশ্ন তোলেন মমতা। তিনি আরো অভিযোগ করেন, রাজ্যের ভ্যাকসিন বা ওষুধের ব্যাপারে কিছুই জানতে চাওয়া হয়নি। এমনকি সমস্যা কোথায় হচ্ছে সেই ব্যাপারে কোন কিছুই তথ্য নেওয়া হয়নি। এর পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে সরাসরি তোপ দেগে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী বৈঠকে বলছেন যে করোনাভাইরাস নাকি চলে গেছে! যদি ভাইরাস চলে গিয়ে থাকে তাহলে এত মানুষের মৃত্যু হচ্ছে কী করে, প্রশ্ন করেন মুখ্যমন্ত্রী।
এদিকে তিনি আরও একবার দাবি করেন যে বিজেপির জন্যই বাংলায় গ্রামে গ্রামে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ বেড়েছে। কারণ এতগুলো দফার নির্বাচন করা হয়েছে। করোনাকালে মুখ লুকাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী, এই বলে তোপ দেখেছেন তিনি। মমতার আরও বক্তব্য, করোনাভাইরাস পরিস্থিতির মধ্যেও মূর্তি বানানোর কাজ চলছে, সেন্ট্রাল ভিস্তার কাজ চলছে। এদিকে গঙ্গায় লাশ ভেসে যাচ্ছে। গোটা গঙ্গা, গোটা দেশকে দূষিত করে দিয়েছে বিজেপি। সেই বিষয়ে দেখার জন্য কোন কেন্দ্রীয় দল পাঠানো হচ্ছে না।