কলকাতা: করোনা সংক্রমণ আটকানোর জন্য ইতিমধ্যেই লকডাউন ঘোষণা করেছে রাজ্য। পাশাপাশি টিকাকরণ কর্মসূচিতে জোর দেওয়া হচ্ছে। সেই প্রেক্ষিতে এবার সরকারের তরফে ঘোষণা করা হল যে, টিকা পাওয়ার অগ্রাধিকারের তালিকায় থাকছেন ব্যাঙ্ক কর্মীরা। তাঁদের সকলকে সাধারণ মানুষের সরাসরি সংস্পর্শে এসে কাজ করতে হয় এবং এই কারণে তাঁদের সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি। সেই প্রেক্ষিতেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। ইতিমধ্যেই মমতার সরকারের এই সিদ্ধান্তকে সমর্থন জানিয়েছে একাধিক সংগঠন।
আরও জানান হয়েছে, টিকার অগ্রাধিকারের তালিকায় ব্যাঙ্ক কর্মীদের পাশাপাশি রয়েছেন টিকা না নিতে পারা শিক্ষক-সহ বিভিন্ন আধা সরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মীরাও। প্রাথমিক পর্যায়ে চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী এবং কোভিড যোদ্ধারা টিকাকরণের অগ্রাধিকারের তালিকায় ছিলেন। এবার সেই তালিকায় সামিল হলেন ব্যাঙ্ক কর্মচারীরাও। ইতিমধ্যে সরকার দৈনন্দিন জনজীবনে যুক্ত থাকা বিভিন্ন পেশার কর্মীদের টিকাকরণে অগ্রাধিকারের তালিকায় অগ্রাধিকার দিয়েছে। সব্জি, মাছ, মুদিখানা-সহ অত্যাবশকীয় পণ্যের ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে সাংবাদিকরাও সেই তালিকায় রয়েছেন।
অন্যদিকে গতকালই, কেন্দ্রীয় এবং রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের করোনাভাইরাস টিকা প্রদানের আর্জি জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি লেখেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। চিঠিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উল্লেখ করেছেন, জরুরী পরিষেবা চালু রাখার জন্য একাধিক জায়গায় কর্মচারীরা কাজ করে যাচ্ছেন। রেল এবং বিমানবন্দর থেকে শুরু করে ব্যাংক, ডাকঘর সহ একাধিক ক্ষেত্রে কর্মচারীরা কাজ করে চলেছেন করোনা ভাইরাস সংক্রমিত হওয়ার ভয় তোয়াক্কা না করে। সেই প্রেক্ষিতে এই সমস্ত কর্মচারীদের দ্রুত যাতে টিকা দেওয়া যায় সেই ব্যাপারে পদক্ষেপ করার জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি লিখেছেন তিনি। যদিও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করছেন, কেন্দ্রীয় সরকার পর্যাপ্ত ভ্যাকসিন পাঠাচ্ছে না বাংলায়। তিনি দাবি করেন, এই মাসে ২৪ লক্ষ ভ্যাকসিন দেওয়ার কথা ছিল কিন্তু ১৩ লক্ষ পাওয়া গেছে। বাংলার বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিজেপি ফলাও করে বলেছিল যে বাংলায় বিনামূল্যে ভ্যাকসিন দেবে। কিন্তু এখন মুখ লুকিয়ে পালিয়ে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী।