কলকাতা: বুধবার দুপুরের মধ্যে আছড়ে পড়তে চলেছে ঘূর্ণিঝড় যশ৷ ক্রমশ শক্তি বাড়িয়ে স্থলভাগের দিকে এগিয়ে আসছে এই ঘূর্ণিঝড়৷ এই মুহূর্তে দীঘা থেকে ৩৭০ কিলোমিটার দূরে রয়েছে যশ৷ সতর্ক রয়েছে প্রশাসন৷ যশ স্থলভাগে আছড়ে পড়ার আগেই বেশ কয়েকটি জেলায় বন্যা সতর্কতা জারি করল সরকার৷ অন্যদিকে, দীঘা থেকে সরানো হল ১ লক্ষ ১০ হাজার মানুষকে৷
আরও পড়ুন- যশের দাপটে ফসল নষ্ট হলে ক্ষতিপূরণ দেবে রাজ্য সরকার, খোলা হল কন্ট্রোল রুম
রাজ্যের মোট ৯টি জেলায় বন্যা সতর্কতা জারি করা হয়েছে৷ এর মধ্যে রয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, পুরুলিয়া, মুর্শিদাবাদ, হাওড়া, হুগলী, পূর্ব বর্ধমান ও পশ্চিম বর্ধমান৷ এই জেলাগুলি কংসাবতী, ময়ুরাক্ষী, অজয়, দামোদর ও হুগলী নদীর পাশে অবস্থিত৷ এই নদীগুলিতে জলোচ্ছ্বাস হতে পারে বলে সতর্ক করা হয়েছে৷ মৌসম ভবন জানাচ্ছে, এই ঘূর্ণিঝড়ের অভিমুখ ঝাড়খণ্ডের দিকে৷ পূর্ব মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম হয়ে ঝাড়খণ্ডের দিকে চলে যাবে যশ৷ তবে পুরুলিয়ার একটা অংশে বড় প্রভাব পড়তে পারে৷ জলস্তর বাড়ার ফলে বন্যাও হতে পারে৷ এ প্রসঙ্গে বিভিন্ন জেলা দফতরকে সতর্ক করা হয়েছে৷ সতর্ক করা হয়েছে ৯ জেলার জেলা শাসকদের৷ নদীর তীরবর্তী গ্রামগুলি ফাঁকা করার কথা বলা হয়েছে৷
পাশাপাশি উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগণার বিভিন্ন জায়গায় মানুষদের সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে৷ পুরুলিয়া, বাঁকুড়া ও বীরভূমেরও কিছু কিছু জায়গা খালি করে দেওয়া হয়েছে৷ এখান থেকে গ্রামবাসীদের নিরাপদ আস্তানায় সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে৷
আরও পড়ুন- করোনা কেড়েছে মা-বাবা-ভাইকে! কোভিড-মুক্ত হয়েও সর্বহারা তরুণী
এদিকে নবান্নে উপস্থিত রয়েছেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী৷ তিনি নিজে কন্ট্রোলরুম ঘুরে দেখছেন৷ অফিসারদের কাছ থেকে বারবার খবরাখবর নিচ্ছেন৷ আম্পান থেকে শিক্ষা নিয়ে আগাম প্রস্তুতি সেরে রাখতে চাইছে রাজ্য সরকার৷ যাতে যশের ক্ষত সহজেই সামাল দেওয়া যায়৷