বন্ধ করে দেওয়া হিন্দু মন্দির ফের নির্মাণের অনুমোদন পাকিস্তানে!

একাধিক ইসলামিক সংগঠনের বিরোধিতায় ইসলামাবাদে  হিন্দু মন্দির নির্মাণের কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল।

ইসলামাবাদ: একাধিক ইসলামিক সংগঠনের বিরোধিতায় ইসলামাবাদে হিন্দু মন্দির নির্মাণের কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। এবার একবার ফের সেই মন্দির নির্মাণের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। ইসলামাবাদের হিন্দু মন্দির নির্মাণের অনুমোদন দিয়েছে পাকিস্তান সরকারের ইসলাম বিষয়ক সর্বোচ্চ সংস্থা ‘কাউন্সিল অফ ইসলামিক আইডিওলজি’।

সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পাকিস্তানের রাজধানীতে নতুন হিন্দু মন্দির স্থাপন করতে কোন রকম আপত্তি নেই তাদের। ধর্মীয় ইস্যুতে সরকারকে নানারকম পরামর্শ দেওয়া এই কাউন্সিল অফ ইসলামিক আইডিওলজি সংস্থার বক্তব্য, ইসলাম ধর্মে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জন্য প্রার্থনালয় তৈরির অনুমোদন রয়েছে। কাউন্সিলের নেতারা বলেন, মৃত্যু পরবর্তী আচার আচরণ পালনে হিন্দুদের সাংবিধানিক অধিকার রয়েছে। তাই তাদের জন্য সুবিধাজনক স্থানে মন্দির স্থাপনে তাদের অনুমতি আছে। সেই প্রেক্ষিতে নতুন মন্দির গড়তে কোনো রকম বাধা নেই। পাকিস্তান সরকারের এই সিদ্ধান্তের প্রশংসা করেছেন সংসদের অন্যতম সদস্য এবং প্রখ্যাত হিন্দু নেতা লাল মালহি।

বর্তমানে ইসলামাবাদে হিন্দুদের জন্য কোনও মন্দির নেই। মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ পাকিস্তানের রাজধানীতে প্রায় ৩ হাজারসহ দেশজুড়ে দশ লাখের বেশি হিন্দুর বসবাস রয়েছে। প্রসঙ্গত, গত জুন মাসে প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান কট্টরপন্থী ইসলামি একাধিক গোষ্ঠীর বিরোধিতার মুখে পড়ে এই মন্দির নির্মাণের কাজ বন্ধ করে দেন। ইসলামিক গোষ্ঠীর দাবি ছিল, মন্দির নির্মাণ ইসলাম বিরুদ্ধ। এরপরই সরকার এক্ষেত্রে মন্দির নির্মাণে অর্থ ব্যয় করতে পারবে কিনা সেই সিদ্ধান্ত মাওলানাদের ওই পর্ষদের ওপর ছেড়ে দেন ইমরান খান। তার আগে তিনি ৬ লাখ ডলার ব্যয়ে মন্দিরটি নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। তবে এখন সেই দাবি খারিজ করে দিয়েছে কাউন্সিল অফ ইসলামিক আইডিওলজি। তবে বর্তমানে রাষ্ট্রীয় অর্থে নাকি ব্যক্তিগত ব্যয়ে এ মন্দির প্রতিষ্ঠা হবে সে বিষয়ে এখনো ধোঁয়াশা আছে। 

উল্লেখযোগ্য বিষয়, ১৯৪৭ সালে পাকিস্তান সৃষ্টির পর ইসলামাবাদে কোন হিন্দু মন্দির গড়ে ওঠেনি। এই মন্দির নির্মিত হলে এটাই হবে পাকিস্তানের রাজধানীর প্রথম হিন্দু মন্দির।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *