কলকাতা: গত বছরের মে মাসে আম্ফানের প্রবল তাণ্ডবে তছনছ হয়ে গিয়েছিল দক্ষিণবঙ্গে একাংশ৷ কলকাতা-সহ দুই মোদিনীপুর, ২৪ পরগনার এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়ে৷ বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয় একাধিক এলাকা৷ প্রায় এক মাস ধরে দুর্ভোগ সহ্য করতে হয়েছিল দুর্যোগকবলিত এলাকার বাসিন্দাদের। আর বছর ঘুরতেই ফের ঝড়ের পূর্বাভাস পেতেই টনক নড়েছে প্রশাসনের৷ ঘূর্ণিঝড় যশের নাম শুনেই আতঙ্কের প্রহর গুনতে শুরু করেছেন উপকূলবর্তী এলাকার বাসিন্দারা৷ তবে আবহাওয়াবিদদের মতে ঘূর্ণিঝড় ‘যশ’ আম্ফানের তুলনায় কম শক্তিশালীও হতে পারে৷ হওয়া অফিসের এই পূর্বাভাসে কিছুটা হলেও মিলেছে স্বস্তি৷
আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস, ‘যশ’ ওড়িশার বালাসোরের ওপর প্রথম আছড়ে পড়বে৷ কিন্তু আম্ফান কলকাতার ওপর দিয়ে উত্তর ২৪ পরগনা হয়ে বাংলাদেশ গিয়েছিল৷ ফলে, ঝড়ের প্রভাবও অনেক শক্তিশালী ছিল৷ কিন্তু ‘যশ’ বালাসোরের ওপর দিয়ে প্রবেশ করলেও কলকাতায় সেরকম ঝড়ের প্রভাব পরবে না। কারণ বালাসোর থেকে কলকাতার দূরত্ব প্রায় ২০০ কিলোমিটার। তবে এই ঝড়ের প্রভাবে কলকাতায় কিছু কিছু জায়গায় ভারী বৃষ্টি হতে পারে৷ যশের প্রভাব সব থেকে বেশি পড়বে দুই মেদিনীপুর জেলায়৷ বাকি উত্তর থেকে দক্ষিণবঙ্গে ঝড়ের প্রভাবে কোথাও কোথাও অতি ভারী থেকে ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে৷ সঙ্গে থাকতে পারে দমকা হাওয়া৷
আবহাওয়াবিদদের মতে, গতকালের তুলনায় আজ থেকে বৃষ্টির পরিমাণ আরও বাড়বে। ইতিমধ্যেই এই সামুদ্রিক এলাকাগুলিতে জারি হয়েছে চূড়ান্ত সতর্কবার্তা৷ যারা কাঁচা মাটির বাড়িতে থাকেন, তাঁদের ফ্লাড সেন্টারে সরানো হয়েছে। এমনকি রাজ্যের উপকূলের বাসিন্দাদের ত্রাণ সামগ্রী এবং জলের প্যাকেট সরবরাহ করা হয়েছে। পরিস্থিতি যাতে হাতের বাইরে না যায় তার জন্য বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর প্রস্তুতি নিচ্ছে৷ রাজ্যের সমস্ত হাসপাতালগুলিতে প্রয়োজনীয় ওষুধ সরবরাহ করা হয়েছে৷ এক হাজার পাওয়ার রিস্টোরেশন টিম রেডি এবং ৪৫০টি টেলিকম রিস্টোরেশন টিম রেডি করা হয়েছে৷