কলকাতা: শক্তি বাড়িয়ে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় যশ৷ তার আগে হালহকিকত জানতে আবহাওয়া দফতরে পৌঁছলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়৷
আরও পড়ুন- নারদ মামলায় সুপ্রিম ধাক্কা CBI- এর, শীর্ষ আদালত থেকে মামলা ফিরল হাইকোর্টে
এদিন রাজ্যপাল বলেন, আম্পানের সময় যে সঙ্কট এসেছিল তার পুনরাবৃত্তি রুখতে ভারতীয় বায়ুসেনা গভীর পর্যবেক্ষণ করেছে৷ ভারতীয় নৌসেনা বিশাখাপত্তনম থেকে উদ্ধারকারী দলকে ডেকে এনেছে৷ রাজ্য সরকারও সম্পূর্ণভাবে তৎপর রয়েছে৷ নিজেদের মধ্যে সামঞ্জস্য রেখে কাজ চলছে৷ এই ধরনের পরিস্থিতিতে মেলবন্ধন থাকাটা আবশ্যক৷ কারণ সকলের উদ্দেশ্য একটাই৷ সাধারণ মানুষের যাতে কোনও সমস্যা না হয়৷ তিনি আরও জানান, এই উদ্দেশে মুখ্য সচিব এমনকী মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গেও তাঁর আলোচনা হয়েছে৷ রাজ্যপাল বলেনম, প্রথম নাগরিক হিসাবে আবহাওয়া দফতর থেকে তথ্য জেনেছি৷ এই বিষয়ে আলোচনাও হয়েছে৷ ভারত বৈজ্ঞানিক দিক থেকে অনেকটাই অগ্রসর হয়েছে৷ আমাদের পূর্বাভাসও অনেক বেশি বিজ্ঞান সম্মত৷ অনেক বেশি সঠিক৷ ফলে আগাম প্রস্তুতি নেওয়ার ক্ষেত্রেও এখন অনেক বেশি সুবিধা রয়েছে৷
আরও পড়ুন- ‘যশ’ মোকাবিলায় প্রস্তুত মাস্টার প্ল্যান, কন্ট্রোল রুমে রয়েছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী
রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের কথায়, রাজ্য সরকার হাজারের বেশি মানুষকে সরিয়ে নিয়ে গিয়েছে৷ ভারতীয় উপকূলরক্ষা বাহিনী ও নৌসেনা হাই অ্যালার্ট জারি করেছে৷ মৎস্যজীবীরা যাতে সমুদ্রে না যায়, সে দিকে নজর দেওয়া হয়েছে৷ উপকূলবর্তী এলাকা থেকে বাসিন্দাদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে৷ জাহাজগুলোকে বন্দরে নিরাপদ স্থানে নোঙর করা হয়েছে৷ আবহাওয়া দফতরের পূর্বাঞ্চলীয় অধিকর্তা সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁকে ঘূর্ণিঝড় সম্পর্কে সম্পূর্ণ তথ্য দিয়েছেন বলেও জানান রাজ্যপাল৷