ফিলিপিন্স: ভালোবাসার থেকে বড় কিছু হতে পারে না। ভালোবাসার কাছে সবই তুচ্ছ, এমনকি ভয়ানক বন্যা পরিস্থিতিও। বন্যার কারণে বানভাসি অবস্থা গির্জা যাওয়ার পথের। কিন্তু সেসব তোয়াক্কা না করে, এক দম্পতি গির্জায় পৌছলেন বিয়ে করতে। বন্যা পরিস্থিতি অতিক্রম করা এত সহজ হয়নি। তবুও মনের জোরের কাছে ভয়ানক বন্যা পরিস্থিতিও হেরে গেল।
কথা হচ্ছে রনিল গুইলিপা এবং জিজিয়েল মাসুয়েলার। বিয়ে করার জন্য গির্জায় যেতে হতো তাদের। কিন্তু ভয়ংকর বন্যা পরিস্থিতির জন্য জলে ডুবে গিয়েছে গির্জা যাওয়ার পথ। এসবের জন্য কি নিজেদের বিয়ে স্থগিত রাখা যায়? এদের জন্য উত্তর অবশ্যই ‘না’। জলে ভেসে যাওয়া পথ কোন রকম ভাবে অতিক্রম করেই গির্জায় পৌঁছন দুজনে। তবে দম্পতি একা নয়, তাদের সঙ্গে ছিল কিছু বন্ধুবান্ধব এবং আত্মীয়। তারাও তাদের সঙ্গ ছাড়েনি।
একাধিক আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, ফিলিপিন্সের এই দম্পতি নেগ্রাস অরিয়ান্টাল প্রদেশের গির্জায় যাওয়ার পথে বন্যার কবলে পড়েন ২৩ অক্টোবর। অতিরিক্ত বৃষ্টির কারণে লুয়াং নদী পার হতে হয়েছিল তাদের। তখনই তারা বন্যার কবলে পড়েন। বন্যার জল টপকে গির্জায় যাওয়ার ছবি এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। ছবিতে দেখা যাচ্ছে, বন্যার জল কবলিত পথ পেরোতে রীতিমতো হিমশিম খেতে হয়েছে সকলকে। যদিও ভেঙে পড়েননি কেউ।
এর আগেও এই ধরনের কান্ড করেছিলেন অন্য এক দম্পতি। প্রবল বর্ষণে প্লাবিত একটি গির্জায় এক দম্পতির বিয়ে করতে আসার ভিডিও ভাইরাল হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। সেটিও ছিল ফিলিপিন্সের। ভিডিওতে দেখা যায়, বন্যার জলের মধ্যেই দাঁড়িয়ে আছেন দম্পতি। ২৪ বছরের জোবেল ডেলোস অ্যাঞ্জেলস তাঁর দুই সন্তানের বাবাকে বিয়ে করেন। ইয়াগি নামক প্রবল ঝড়-জলে ফিলিপিন্সের রাজধানী ম্যানিলা এবং বুলাকান অঞ্চলে ওই দম্পতির বাড়ি ও তার নিকটবর্তী অঞ্চল বন্যার জলে ভেসে গিয়েছিল। প্রসঙ্গত, ফিলিপিন্সে প্রতিবছর গড়ে কুড়িটা টাইফুন এবং অন্যান্য ঝড় হয়। তবে সাম্প্রতিক ঝড়ে বহু মানুষের ক্ষতি হয়েছে।