নারদ কাণ্ডে শুভেন্দুর পাশাপাশি তৃণমূলের অভিযুক্তদেরও গ্রেফতারের দাবি তুললেন অভিষেক!

কলকাতা: নারদ মামলা নিয়ে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যে বক্তব্য রেখেছেন, তাতে শোরগোল পড়ে গিয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে। তিনি স্পষ্ট বলেছেন এই মামলায় যাদের…

কলকাতা: নারদ মামলা নিয়ে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যে বক্তব্য রেখেছেন, তাতে শোরগোল পড়ে গিয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে। তিনি স্পষ্ট বলেছেন এই মামলায় যাদের টাকা নিতে দেখা গিয়েছে তাঁদের সবাইকে অবিলম্বে গ্রেফতার করা হোক। সেক্ষেত্রে অভিষেক নিজের দলের কথা উল্লেখ করে বলেছেন, যাদের টাকা নিতে দেখা গিয়েছে সেই ছবি তো অস্বীকার করা যায় না। আর সেই সূত্রেই অভিষেকের জোরালো বক্তব্য, শুভেন্দু অধিকারীকে সবার আগে গ্রেফতার করা হোক।

এরপর ধাপে ধাপে গ্রেফতার করা হোক অন্যান্য অভিযুক্তদেরও। বলাবাহুল্য তাঁরা প্রত্যেকেই তৃণমূলে রয়েছেন। তাঁদের কেউ মন্ত্রী, কেউ সাংসদ, কেউ বা দলের গুরুত্বপূর্ণ বিধায়ক বা নেতা। অভিষেকের এই বক্তব্যের যে যথেষ্ট রাজনৈতিক তাৎপর্য আছে সেটা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। নারদ কাণ্ডের ভিডিওতে যাদের টাকা নিতে দেখা গিয়েছে (সেই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি আজ বিকেল) তাঁদের সিংহভাগ বর্তমানে তৃণমূলে রয়েছেন। শুধুমাত্র শুভেন্দু অধিকারী ও শঙ্কুদের পান্ডা বিজেপিতে রয়েছেন, যাদের বিরুদ্ধেও নারদ কাণ্ডে টাকা নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া রয়েছেন এক প্রাক্তন পুলিশ কর্তা। উল্লেখ্য ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের সময় শুভেন্দু ও শঙ্কুদেব দু’জনেই তৃণমূলে ছিলেন। পরবর্তীকালে তাঁরা তৃণমূলে যোগদান করেছেন। এই পরিস্থিতিতে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ইডি দফতরে হাজিরা দিতে গিয়েছিলেন অভিষেক। এরপর দীর্ঘ জেরার পর বাইরে বেরিয়ে এসে নারদ মামলার প্রসঙ্গ উল্লেখ করে এমনই বক্তব্য রাখতে দেখা গিয়েছে অভিষেককে।

স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে অভিষেকের এই বক্তব্যের জেরে তৃণমূলে গৃহযুদ্ধ শুরু হয়ে যাবে না তো? কারণ অভিষেক স্পষ্ট দাবি করেছেন যাদের টাকা নিতে দেখা গিয়েছে তাঁদের সবাইকে গ্রেফতার করা হোক। তাহলে তো ফিরহাদ হাকিম, সৌগত রায়, কাকলি ঘোষ দস্তিদার, মদন মিত্র, প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়, অপরূপা পোদ্দার-সহ আরও অনেককেই গ্রেফতার করতে হবে। ইডি দফতর থেকে বেরিয়ে বক্তব্য রাখার সময় শুভেন্দু অধিকারীকে নিশানা করে অভিষেক তাঁকে গ্রেফতারির দাবি তুলবেন এটা প্রত্যাশিত ব্যাপার। কিন্তু সেই দাবি তোলার পাশাপাশি যেভাবে দলের এক ঝাঁক নেতা-নেত্রীকেও নারদ কাণ্ডে টাকা নিতে দেখা গিয়েছে বলে গ্রেফতারের কথা বলেছেন তিনি, তা নিয়ে হইচই পড়ে গিয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *