ঘরে ফিরলেন মুকুল, সাংবাদিকদের প্রশ্নে বেজায় চটলেন মমতা

ঘরে ফিরলেন মুকুল, সাংবাদিকদের প্রশ্নে বেজায় চটলেন মমতা

77b6769ae016488899cc40248b965509

 

কলকাতা:  সমস্ত জল্পনার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে তৃণমূলে ফিরলেন মুকুল রায়৷ ছেলে শুভ্রাংশুকে সঙ্গে নিয়ে ঘটল তাঁর প্রত্যাবর্তন৷ তৃণমূল ভবনে বৈঠকের পর মুকুল-শুভ্রাংশুকে সঙ্গে নিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ উপস্থিত ছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, পার্থ চট্টোপাধ্যায় সহ তৃণমূলের শীর্ষ স্থানীয় নেতারা৷ 

আরও পড়ুন- ‘বাংলার মীরজাফর, উনি মৃত, মস্তক মুণ্ডন করব’, মুকুল নিয়ে বিস্ফোরক সৌমিত্র

এর পরেই পার্থবাবু বলেন, তৃণমূলে প্রত্যার্পনের ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন সর্বভারতীয় সহ সভাপতি তথা বিধায়ক মুকুল রায়৷ সভানেত্রীর অনুমোদনে তাঁকে স্বাগত জানাচ্ছি৷ স্বাগত জানান শুভ্রাংশু রায়কেও৷ এরপরেই উত্তরীয় দিয়ে সম্মান জানান তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়৷  

আরও পড়ুন- বঙ্গ রাজনীতির ‘চাণক্য’ মুকুল রায় বহু উত্থান-পতনের সাক্ষী!

মুকুল রায় বলেন, ভারতীয় জনতা পার্টি থেকে বেরিয়ে পুরনো জায়গায় ফিরে পুরনো সঙ্গীদের মাঝে খুবই ভালো লাগছে৷ আশা রাখি বাংলা আবার পুরনো জায়গায় ফিরতে পারবে৷ সামনে থেকে বাংলাকে নেতৃত্ব দেবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ কেন ঘরে ফিরেছি তা বিস্তারিত ভাবে বলব৷ লিখিত ভাবে তা জানানো হবে৷ বিজেপি করব না বলেই তৃণমূলে এসেছি৷ 

আরও পড়ুন- ‘আবর্জনা দূর করুন’ ডাক বৈশালীর, বঙ্গ বিজেপি’র অস্বস্তি বাড়ালেন ‘বেসুরো’ অনুপম

অন্যদিকে তাঁর সঙ্গে মুকুল রায়ের বিরোধ, কেন প্রত্যাবর্তন এহেন নানা প্রশ্নে বেজায় চটেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ তিনি বলেন, ‘‘এটা তৃণমূল ভবন৷ এটা আমাদের অফিস৷ এখানে ব্যক্তিগত প্রশ্ন করে কোনও তিক্ত পরিবেশ তৈরি করবেন না। আমরা জানি কাউকে কাউকে এই ভাবে প্রশ্ন করার জন্য ঠিক করা হয়। কোনও কিছু জিজ্ঞাসা করার হলে আমাকে করুন। অন্য কাউকে নয়।’’
 

আরও পড়ুন- ‘বাংলার মীরজাফর, উনি মৃত, মস্তক মুণ্ডন করব’, মুকুল নিয়ে বিস্ফোরক সৌমিত্র

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায়, ‘‘নির্বাচনের সময় অনেকেই দলের সঙ্গে গদ্দারি করেছে। কিন্তু ভোটের সময় মুকুল একটি কথাও বলেনি। যাঁরা নির্বাচনের সময় গদ্দারি করে বিজেপি’র হাত শক্ত করতে গিয়েছে তাঁদের আমরা নেব না৷ এটাই দলের সিদ্ধান্ত৷’’ এর পর নারদ কাণ্ডে মুকুল রায়ের যোগ নিয়ে প্রশ্ন করা হলেও রেগে যান তিনি৷ বলেন, সারদা-নারদার জন্য তৃণমূল কংগ্রেস কোনও ভাবেই দায়ী নয়৷ টিকাকরণের ৩৫ হাজার কোটি টাকা কোথায় গেল? পিএম কেয়ার্সের টাকা কোথায় গেল? বিজেপি’কে সেই প্রশ্ন করুন৷ 

মতাদর্শ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে উত্তেজিত মমতা বলেন, মতাদর্শ নিয়ে কোনও কথা হবে না৷ আমরা বিজেপি’র মিডিয়াকে সন্তুষ্ট করতে পারব না৷   বিজেপি সাধারণ মানুষের পার্টি নয়৷ ওখানে মুকুল থাকতে পারবে না বলেই চলে এসেছে৷   তৃণমূল মানুষের দল৷  রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় ও সোনালীকে নিয়ে প্রশ্ন করা হলেও তা এড়িয়ে যান তিনি৷ 
 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *