কলকাতা: কার্যত লকডাউন শেষ হতে বাকি ৪৮ ঘণ্টা৷ তবে কী এবার বিধিনিষেধ তুলে নেবে সরকার? নাকি শিথিলতা আরও খানিকটা বাড়াবে? ফের কি চালু হবে লোকাল ট্রেন? এই মূহূর্তে ঠিক কী পরিকল্পনা রয়েছে রাজ্যের?
রাজ্যে দৈনিক করোনা সংক্রমণ আরও কিছুটা কমল। দু’মাস পর দৈনিক সংক্রমণ পাঁচ হাজারের নিচে নেমে গিয়েছিল শুক্রবার। গত ২৪ ঘণ্টায় তা আরও কমে ৪ হাজার ২৮৬ হল। একই সঙ্গে সামান্য কমেছে দৈনিক মৃত্যুও। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে ৮১ জন করোনা রোগীর মৃত্যু হয়েছে, শুক্রবার সংখ্যাটা ৮৯ ছিল। যার জেরে এখন কিছুটা স্বস্তিতে রাজ্য। প্রথমে লকডাউন করতে না চাইলেও রাজ্যে সংক্রমণ কুড়ি হাজার ছাড়ানোয় শেষ পর্যন্ত গত ১৬ মে কার্যত লকডাউন জারি করতে হয়েছিল রাজ্য সরকারকে। প্রথম পনেরো দিনের বিধিনিষেধের পর সুফল কিছুটা মিলেছিল বলে সূত্রের খবর।
তারপর বিধিনিষেধে আর একটু বেশি ছাড় দিয়ে শেষ পর্যন্ত আরও ১৫ দিনের জন্য কার্যত লকডাউন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকার। এবার প্রশ্ন উঠেছে তবে কি এবার বিধিনিষেধ তুলে নেবে সরকার?
এর আগে বাজারের কথা মাথায় রেখে বেলা বারোটা থেকে সোনার দোকান এবং বিকেল পাঁচটার পর থেকে রাত আটটা পর্যন্ত হোটেল-রেস্তোরাঁগুলিকে খোলার অনুমতি দিয়েছিল রাজ্য সরকার। কিন্তু করোনা সংক্রমণে আশার আলো দেখা গেলেও বিশেষজ্ঞদের মতে রাজ্যে লকডাউন যত বাড়বে ততই ধাক্কা খাবে অর্থনীতি। তাই সংক্রমণ এখন যখন কিছুটা আয়ত্তের মধ্যে, ফলে বিধিনিষেধের তালিকা আরও কিছুটা বাড়ানো হতে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে। যদিও সূত্রের খবর, এখনই বিধি-নিষেধ পুরোপুরি তুলতে চাইছে না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। যেমন লোকাল ট্রেন চালানোর এখনই কোন সম্ভাবনা নেই বলেই মনে করা হচ্ছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় উত্তর ২৪ পরগনায় সংক্রমিত হয়েছেন ৭৯২ জন, যা যথেষ্ট উদ্বেগের। আর সেই কারণেই এখনই রেল চলাচল শুরু করতে নারাজ রাজ্য। তবে, এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই। এখন আগামীদিনে কি সিদ্ধান্ত নেয় রাজ্য সরকার..তার দিকেই তাকিয়ে পশ্চিমবঙ্গের ১০ কোটি জনতা৷