কলকাতা: করোনা পরিস্থিতি সামাল দিতে রাজ্যজুড়ে জারি রয়েছে কার্যত লকডাউন৷ এই বিধি নিষেধের দ্বিতীয় পর্ব শেষ হচ্ছে আগামীকাল ১৫ জুন৷ বিধি নিষেধের মেয়াদ বাড়ানো হবে কিনা, সে বিষয়ে সোমবার সিদ্ধান্ত নেবে নবান্ন৷ তবে কার্যত লকডাউনের জেরে রাজ্যে আপাতত বন্ধ রয়েছে লোকাল ট্রেন পরিষেবা৷ এদিকে জানা গিয়েছে রাজ্যে ট্রেন পরিষেবা চালু করতে চেয়ে চিঠি পাঠিয়েছে পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্ব রেল৷ আজ এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে কি রাজ্য সরকার? আপাতত নজর সে দিকেই৷
আরও পড়ুন-দর্শনের ছাত্রী হয়ে উঠেছিলেন শ্রমিক নেতা! ভাঙড়ের হৃদয় ভেঙে প্রয়াত রেড স্টার নেত্রী শর্মিষ্ঠা!
মে মাসে রাজ্যে করোনা বিধি চালু হওয়ার পর থেকেই বন্ধ রেয়েছে লোকাল ট্রেন চলাচল৷ যার জেরে বন্ধ হয়ে গিয়েছে বহু মানুষের রুজি রুটি৷ ফলে ট্রেন চলার অপেক্ষায় রয়েছেন তাঁরা৷ আবার রেলের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে অর্থনীতিও৷ ট্রেন বন্ধ থাকায় রেলের আয়ও তলানিতে ঠেকেছে৷ শুধুমাত্র হাওড়া ডিভিশনে প্রতিদিন ট্রেন চালিয়ে গত এপ্রিল মাসে আয় হয়েছিল ৫৬ লক্ষ টাকা৷ হাওড়া-শিয়ালদা মিলে আপতত চলছে শুধু স্টাফ স্পেশাল৷ স্পেশ্যাল ট্রেনে রেলের কর্মী ছাড়াও চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী ও অন্যান্য জরুরি পরিষেরাপ সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের ওঠার অনুমতি দেওয়া হলেও সাধারণ মানুষের সেখানে ওঠার অনুমতি নেই৷ আর এ নিয়ে হামেশাই অশান্তিও বাঁধছে৷
রবিবার পূর্ব রেলের জনসংযোগ আধিকারিক একলব্য চক্রবর্তী জানিয়েছেন, শিয়ালদা শাখার মুখ্য বিভাগীয় আধিকারিক এসপি সিং লোকাল ট্রেন চালানোর অনুমতি চেয়েছে রাজ্য সরকারের কাছে৷ বিধি নিষেধের আগে পর্যন্ত শিয়ালদ শাখায় ৮৮২টি লোকাল ট্রেন চলত৷ সেখানে এখন হাওড়া ও শিয়ালদা শাখা মিলিয়ে চলছে ৩৪২টি স্টাফ ট্রেন৷ অতিরিক্ত যাত্রী গাদাগাদি করে গেলে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়বে বই কমবে না৷ যার জেরেই লোকাল ট্রেন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয় রাজ্য সরকার৷ তবে এবার ট্রেন চালু করা হবে কিনা, সে দিকেই তাকিয়ে রাজ্যের মানুষ৷