কলকাতা: ত্রিপল চুরি কাণ্ডে এবার কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ শুভেন্দু অধিকারী৷ কাঁথি পুরসভার ত্রিপল চুরি করার অভিযোগে শুভেন্দুর বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই এফআইআর দায়ের করা হয়েছে৷ অবিলম্বে ওই এফআইআর খারিজ এবং এই মামলায় শুরু হওয়া তদন্তের উপর অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টে যান বিরোধী দলনেতা। কিন্তু শুভেন্দু অধিকারীর আবেদন খারিজ করে দেয় কলকাতা হাইকোর্ট৷ আগামী ২২ শে জুন মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে৷
আরও পড়ুন- ভাঙন রখতে বিজেপি বিধায়কদের নিয়ে বৈঠকে শুভেন্দু, বিকেলে যাবেন রাজভবন
উল্লেখ্য, শুভেন্দু অধিকারী ও তাঁর ভাই সৌমেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে লক্ষ লক্ষ টাকার ত্রিপল চুরির অভিযোগ উঠেছে৷ কাঁথি পুরসভার অভিযোগের ভিত্তিতেই শুভেন্দু ও সৌমেন্দুর বিরুদ্ধে এই এফআইআর দায়ের করা হয়৷ গত ৫ জুন ঘটনার সূত্রপাত৷ কাঁথি পুরসভার পুরনো ভবনের গুদাম ঘরের সামনে দিয়ে যাচ্ছিলেন এক পুরকর্মী৷ সেই সময় তিনি দেখেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের উপস্থিতিতে ওই গুদাম থেকে ত্রিপল বার করে ম্যাটাডোরে তোলা হচ্ছে৷ বিষয়টি নজরে আসতেই ওই পুরকর্মী তড়িঘড়ি খবর দেন পুরসভার প্রশাসক সিদ্ধার্থ মাইতিকে৷ খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছন তিনি৷ ছুটে আসেন প্রশাসক মণ্ডলীর আরও দুই সদস্যও৷ আসেন যুব তৃণমূল নেতা সুরজিৎ নায়েক৷ এর পরেই গুদাম ঘরের দায়িত্বে থাকা কর্মী হিমাংশু মান্নাকে দীর্ঘ জেরা করেন তাঁরা৷ জেরার মুখে ওই গুদামকর্মী জানান, প্রভাব খাটিয়ে এই কাজ করিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী৷
যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন শুভেন্দু৷ তিনি বলেন, ইচ্ছাকৃতভাবে তাঁকে হেনস্থা করছে তৃণমূল৷ এটাই ওদের সংস্কৃতি৷ নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হারানোর পরই এই হেনস্থার শুরু৷ পুরসভার গোডাউন থেকে ত্রিপল সরাতে হবে এমন দুর্দিন শুভেন্দু অধিকারীর আসেনি মানুষ তা জানে৷