‘ট্রান্সজেন্ডার নারী বলে আমার করোনা পরীক্ষা হল না’, বিস্ফোরক মানবী

‘ট্রান্সজেন্ডার নারী বলে আমার করোনা পরীক্ষা হল না’, বিস্ফোরক মানবী

1de92b616c206ab878f88d9952440f2d

 

কলকাতা: এমআর বাঙুর হাসপাতালে করোনা পরীক্ষা করাতে গেলে তাঁকে তাড়িয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ জানালেন অধ্যাপিকা মানবী বন্দ্যোপাধ্যায়। গত শনিবার বেলা পৌনে একটা নাগাদ তিনি এবং তাঁর স্বামী বাঙুর হাসপাতালে আসেন করোনা পরীক্ষা করাতে। তাঁর সঙ্গে হাসপাতালের কর্মীরা অভব্য আচরণ করে বলে জানিয়েছেন মানবী। রাজ্য ট্রান্সজেন্ডার ট্রান্সপার্সন বোর্ডের সহ অধ্যক্ষ মানবী এই বিষয়ে রাজ্য নারী, শিশু ও সমাজকল্যাণ দফতরে লিখিত অভিযোগও জানিয়েছেন।

সংশ্লিষ্ট দফতরের সচিবকে অভিযোগে মানবী লেখেন, বাঙুর হাসপাতালে করোনা পরীক্ষা করাতে গেলে তাঁকে অপমান করা হয় এবং তাড়িয়ে দেওয়া হয়। হাসপাতাল সুপারের সাথেও তাঁকে দেখা করতে দেওয়া হয়নি। ট্রান্সজেন্ডার বোর্ডের কার্ড দেখাতে গেলেও তা দেখা হয়নি। হাসপাতালের দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মীরা এবং সহকারী সুপার তাঁর পাশে এসে দাঁড়ান। কিন্তু শেষপর্যন্ত তাঁর করোনা পরীক্ষা না করেই একপ্রকার জোর করে তাড়িয়ে দেওয়া হয়।” অভিযোগের পাশাপাশি তিনি দুঃখপ্রকাশ করে লেখেন, “সরকারি হাসপাতালে আমার সাথে যদি এরকম ঘটনা ঘটে তবে আমার মতন বাকিদের কী ঘটবে তা ভেবে আমি ব্যথিত।” এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে নারী, শিশু ও সমাজকল্যাণ দফতরের তরফ থেকে মানবীর সাথে যোগাযোগ করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। 

যদিও মানবীর স্বামীর করোনা পরীক্ষা করা হয় হাসপাতালের তরফ থেকে। শুধুমাত্র ট্রান্স নারী বলেই মানবীকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে মনে করছেন তিনি। মানবীর স্বামীর রিপোর্ট পজিটিভ আসে। সেসময় মানবীর গায়েও জ্বর ছিল। তবে এরকম অপমানের পর মানবীকে করোনা পরীক্ষার জন্য বলা হলেও তিনি আর রাজি হননি। হাসপাতাল কর্মীদের এই ব্যবহারে মানসিক ভাবে তিনি ভেঙে পড়েছেন বলে জানিয়েছেন মানবী। এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে বাঙুর হাসপাতালের সুপার শিশির নস্কর জানান, “ঘটনার সময়ে সহকারী সুপার তাঁর কাছে যান। ওঁর অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চেয়েছিলেন। করোনা পরীক্ষার জন্যও ওঁকে বলা হয়। কিন্তু উনি বেরিয়ে যান।” পাশাপাশি তিনি এও জানান, “এখানে রূপান্তরকামীদের জন্য আলাদা ওয়ার্ড আছে। আগে কোনদিন এরকম কোন অভিযোগ আসেনি।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *