ল্যাম্পপোস্টে বেঁধে পেটানোর ‘হুমকি’ রত্নার, লালবাজারের দ্বারস্থ ‘আতঙ্কিত’ বৈশাখী

ল্যাম্পপোস্টে বেঁধে পেটানোর ‘হুমকি’ রত্নার, লালবাজারের দ্বারস্থ ‘আতঙ্কিত’ বৈশাখী

1b6d163a18107e5fcde1b0c94ad763a3

কলকাতা:  রত্না চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে এবার  হুমকি দেওয়ার অভিযোগ তুললেন বৈশাখী বন্দোপাধ্যায়৷ বিধায়কের হুমকিতে তিনি আতঙ্কিত, ভীত সন্ত্রস্ত বলে মন্তব্য করলেন শোভনের ‘বান্ধবী’৷ 

আরও পড়ুন- ‘শোভনের বিপদে আর কখনও যাব না,’ জানিয়ে দিলেন ‘অপমানিত’ রত্না

বৈশাখী বলেন, প্রকাশ্য সংবাদমাধ্যমে আমার বিরুদ্ধে কথা বলছেন তিনি৷ ল্যাম্প পোস্টে বেঁধে স্বামী সহ আমাকে পেটানোর কথা বলছেন৷  আমি এই কথা শুনে খুবই আতঙ্কিত৷ ভয়ের মধ্যে রয়েছি৷ কারণ উনি শুধু তৃণমূলের একজন নেত্রী নন৷ উনি একজন প্রভাবশালী বিধায়ক৷ লাল বাজারে পুলিশ কমিশনারের কাছে লিখিত ভাবে সুরক্ষা দেওয়ার আর্জিও জানিয়েছেন বলেও জানান বৈশাখী৷ প্রসঙ্গত, ফেসবুক প্রোফাইলে ‘বন্ধু’র নাম জুড়ে বৈশাখী শোভন বন্দ্যোপাধ্যায় হওয়ার পরেই ঝাঁঝাল মন্তব্য করেছিলেন রত্না৷ বলেছিলেন, ‘‘বৈশাখীর স্বামীর বুদ্ধি নেই৷ স্বামী-স্ক্রী দু’জনকেই ল্যাম্পপোস্টে বেঁধে পেটানো উচিত৷ মনোজিৎ মণ্ডলই নিজের স্ত্রীকে আমার স্বামীর কাছে পাঠিয়েছিল হানি ট্র্যাপে ফেলতে। আমার জীবনটা শেষ করে দিতে চেয়েছিল, কিন্তু পারেনি।’ আর এর পরেই লালবাজারে সুরক্ষা চাইলেন বৈশাখী৷  

বৈশাখীর বক্তব্য, ‘‘জনপ্রতিনিধি হওয়ার পরেও উনি হিংসায় উস্কানি দিয়ে বলছেন বৈশাখী ও বৈশাখীর স্বামীকে ল্যাম্পপোস্টে বেঁধে পেটাও৷ আমরা একটা অদ্ভূত সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি৷ অনেকেই আক্রান্ত হচ্ছেন৷ মহিলাদের গুলি মারা হচ্ছে৷ এর মধ্যে বর্বর মানসিকতা নিয়ে উনি এ ধরনের কথা বলছেন৷ তবে এটা শুনে আমি আতঙ্কিত৷ উনি একজন শক্তিশালী মহিলা৷ এ বিষয়ে পুলিশ কমিশনারকে জানিয়েছি৷ তবে যে যতই ক্ষমতাশালী হোক না কেন, তিনি আইনের ঊর্ধ্বে উঠতে পারেন না৷ আমি আশ রাখব আমার সুরক্ষার ব্যবস্থা করা হবে৷’’ 

রত্নার পাল্টা অভিযোগ, ‘‘উনি পুলিশ কমিশনারের কাছে গিয়েছেন আমি সমস্ত প্রশাসনিক স্তরে যাব৷ সম্পত্তি হাতানোটাই ছিল ওঁনার পরিকল্পনা৷ উনি শেষ পর্যন্ত সেটাই করেছেন৷ এবার আমি আমার স্বামীর নিরাপত্তার আর্জি জানিয়ে উপর মহলে যাব৷ সমস্ত সম্পত্তি হাতানো হয়ে গিয়েছে৷ এবার শোভন চট্টোপাধ্যায়কে বাঁচিয়ে রাখা হবে কিনা, তা নিয়ে আমি চিন্তিত৷’’   
 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *