কলকাতা: বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফলের এক মাসের মধ্যেই মুকুল রায় বড় রকমের দলবদল ঘটিয়ে ফেলেছেন। বিজেপি ছেড়ে আবার পুরনো দল তৃণমূল কংগ্রেসে ফিরেছেন তিনি। এই ইস্যুতে বর্তমান রাজনীতি সরগরম দলত্যাগ বিরোধী আইন নিয়ে। হুঁশিয়ারি দিয়ে চলেছেন বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী। কিন্তু তাঁর পিতা শিশির অধিকারীকে নিয়ে জল্পনা বর্তমান। তিনি আদতে কোন দলে অবস্থান করছেন, তা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। একই রকম অবস্থা সুনীল মণ্ডলকে নিয়ে। তাই এই দু’জনকে অবস্থান স্পষ্ট করার সুযোগ দিচ্ছেন লোকসভার অধ্যক্ষ ওম বিড়লা। দুজন কোন দলে রয়েছেন তা জানতে নোটিশ পাঠানো হচ্ছে তাঁদের।
বাংলার নির্বাচনের আগেই বিজেপি শিবিরে যোগ দেন সুনীল মণ্ডল। পরবর্তী ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর জনসভায় উপস্থিত হয়ে উত্তেজনা আরও বাড়িয়ে দেন শুভেন্দু অধিকারীর পিতা তথা তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ শিশির অধিকারী। তবে এখন এই দুজনের রাজনৈতিক অবস্থান নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে। জানা গিয়েছে এই দুজনের সাংসদ পদ খারিজ করতে লোকসভার অধ্যক্ষের কাছে একাধিকবার আবেদন জানিয়েছে শাসক দল। এবার সেই প্রেক্ষিতেই এই দু’জনকে নোটিশ পাঠানো হচ্ছে। সূত্রের খবর, শিশির অধিকারী এবং সুনীল মণ্ডলের বিজেপিতে যোগদানের স্বপক্ষে প্রমাণ জমা করা হয়েছে ইতিমধ্যে। এর পাশাপাশি বিজেপির নেতাদের আলিঙ্গন করার ছবি এবং ভিডিও জমা দেওয়া হয়েছে লোকসভার অধ্যক্ষের কাছে। তৃণমূল কংগ্রেসের অভিযোগের প্রেক্ষিতে তাঁদের নোটিশ পাঠানো হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।
গত বছর ডিসেম্বর মাসে বিজেপিতে শুভেন্দু অধিকারী যোগ দেওয়ার পর পর তৃণমূল কংগ্রেসের একাধিক নেতা এবং বিধায়ক গেরুয়া শিবিরে নাম লেখান। তাঁদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন সুনীল মণ্ডল। এদিকে চলতি বছরে বিধানসভা নির্বাচনের কয়েক সপ্তাহ আগেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর জনসভা উপস্থিত হয়েছিলেন শিশির অধিকারী। একের পর এক ইস্যুতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলকে আক্রমণ করে গিয়েছেন তিনি। যদিও নির্বাচনের ফলাফলের পর বাংলার রাজনৈতিক চিত্র রাতারাতি পাল্টে গিয়েছে।