সিউড়ি: বাংলার বিধানসভা নির্বাচন বিজেপির পক্ষে একেবারেই ভালো যায়নি। এদিকে তৃণমূল কংগ্রেস ক্ষমতায় আসার পরে সবথেকে বড় দলবদল ঘটিয়ে মুকুল রায় ফিরেছেন নিজের পুরনো দলে। এদিন সিউড়ির দলীয় কার্যালয় থেকে বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ সেই মুকুল রায়কে নিয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে বললেন, দল রাহুমুক্ত হয়েছে! এদিকে ‘বঙ্গভঙ্গ’ ইস্যুতে ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করলেন তিনি।
এদিন মুকুল রায় প্রসঙ্গে মুখ খুলে দিলীপ ঘোষ বলেন, তিনি চলে গিয়েছেন ভালো হয়েছে কারণ তিনি চলে যাওয়াতে দল রাহুমুক্ত হয়েছে। বিজেপিতে যোগদান করার পর থেকে বঙ্গ পদ্ম শিবিরে যে মুকুল বনাম দিলীপ একটা বাতাবরণ ছিল তা অস্বীকার করা যায় না। যত দিন যাচ্ছে তত ফাটল প্রকাশ্যে এসেছে। আর এখন তো রাগঢাকের কোনো ব্যাপার নেই। তাই মুকুলের বিরুদ্ধে নিজের ক্ষোভ স্পষ্টভাবে উগড়ে দিচ্ছেন দিলীপ। এই ধরনের মন্তব্য তারই প্রমাণ দিচ্ছে। এদিকে বিজেপি সাংসদ জন বার্লা এবং সৌমিত্র খাঁর বঙ্গভঙ্গ সম্পর্কিত মন্তব্যকে কার্যত উড়িয়ে দিয়েছেন দিলীপ ঘোষ। তিনি স্পষ্ট বলছেন, বিজেপি পশ্চিমবঙ্গকে একটি রাজ্য হিসেবেই দেখে এবং তার সার্বিক উন্নয়নের কথা ভাবে। এক্ষেত্রে কে কী বলছে তার দায় দলের নয়। যদিও এই প্রসঙ্গেও রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসকে এক হাত নিয়ে তিনি বলেন, রাজ্যে এখন সব জায়গায় অশান্তি চলছে, তাই কেউ কেউ হয়তো হতাশা থেকে এই ধরনের মন্তব্য করছেন। তবে তাদের বক্তব্যের সঙ্গে দলের কোনো রকম সম্পর্ক নেই বলে স্পষ্ট করে দেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি।
প্রসঙ্গত এদিন, বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ দাবি করেছেন, বাংলার মানুষের চাকরি এবং উন্নয়নের জন্য পৃথক রাজ্য হওয়া জরুরী। তিনি বলছেন যে জঙ্গলমহলের জন্য আলাদা রাজ্যের দাবি তোলা কোন বড় ব্যাপার নয়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের যদি বহিরাগত বলতে পারেন তাহলে এই দাবি যথেষ্ট সঙ্গত। এই প্রেক্ষিতেই বীরভূম, বর্ধমান, দুর্গাপুর, আসানসোল, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া বিষ্ণুপুর, ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর পূর্ব মেদিনীপুর, হুগলির কিছুটা অংশ নিয়ে জঙ্গলমহল রাজ্য তৈরি হবার দাবি জানিয়েছেন তিনি। অন্যদিকে, জন বার্লা ইতিমধ্যেই ‘বঙ্গভঙ্গ’ নিয়ে সরব হয়েছেন। কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে আবেদন করেছেন যে আলাদা রাজ্য হলে তবেই উন্নতি হবে উত্তরবঙ্গের। অর্থাৎ এক কথায় উত্তরবঙ্গকে পৃথক রাজ্য বা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল করার দাবি তুলেছেন তিনি।