প্রতিশোধমূলক আচরণ, অফিসারদের বিচলিত করার চক্রান্ত, আলাপন ইস্যুতে তোপ সৌগতর

প্রতিশোধমূলক আচরণ, অফিসারদের বিচলিত করার চক্রান্ত, আলাপন ইস্যুতে তোপ সৌগতর

কলকাতা: আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় ইস্যুতে কেন্দ্রকে নিশানা তৃণমূল কংগ্রেসের৷ এদিন তৃণমূল ভবনে সাংবাদিক বৈঠকে তোপ দাগলেন তিনি৷  সাংসদ সৌগত রায় বলেন, পশ্চিমবঙ্গে লজ্জাজনক পরাজয়ের পর প্রতিশোধমূলক আচরণ কেন্দ্র করছে কেন্দ্র৷ ডিওপিডি প্রধানমন্ত্রীর অধীনস্থ দফতর৷ প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশেই সবকিছু হচ্ছে৷ রাজ্য সরকারের অফিসারদের বিচলিত করাই কেন্দ্রের উদ্দেশ্য৷ যাতে তাঁরা স্বাধীনভাবে কাজ করতে না পারেন৷ ঘাড়ের উপর নিঃশ্বাস ফেলছে কেন্দ্র, এটা স্মরণ করাতেই পদক্ষেপ৷

আরও পড়ুন- বাংলার ফলের কাটাছেঁড়া দরকার, ২৯ জুন বৈঠকে বসছে রাজ্য বিজেপি

আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে কেন্দ্রের চার্জশিটের তীব্র বিরোধিতা করেন সৌগতবাবু৷ তিনি বলেন, আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে প্রধান অভিযোগ হল, তিনি এবং মুখ্যমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীকে ১৫ মিনিট অপেক্ষা করিয়েছিলেন৷ এই দেরীর কারণ মুখ্যমন্ত্রী আগেই জানিয়েছিলেন৷ খারাপ আবহাওয়ার জন্যে সাগর থেকে কপ্টার সময় মতো উড়তে পারেনি৷ তাছাড়াও প্রধানমন্ত্রীর চপার নামবে বলে ক্লিয়ারেন্স দিতে দেরী হয়৷ গোটা বিষয়টিই প্রধানমন্ত্রীকে ব্যাখ্যা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী৷ তাছাড়া প্রধানমন্ত্রীও বাংলায় আসার উদ্দেশ্য নিয়ে আসেননি৷ উনি ওডিশায় এসেছিলেন৷ সেখান থেকে দিল্লি ফেরার পথে কলাইকুণ্ডা বিমানবন্দরে থেকে বিমানে সওয়ার হয়েছিলেন৷ বিমানে ওঠার আগে বৈঠক সেরেছিলেন৷ 

এছাড়াও আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে আরও একটি অভিযোগ হল ন্যাশনাল ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট অথরিটির যে বৈঠক প্রধানমন্ত্রী ডেকেছিলেন, সেখানে তিনি উপস্থিত ছিলেন না৷ এর জন্য ন্যাশনাল ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট অথরিটি আইনে তাঁকে দোষী বলা হয়েছে৷ সৌগতবাবু বলেন, এটি একটি দুর্বল অভিযোগ৷ কারণ মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যের বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের প্রধান৷ এগজিকিউটিভ কমিটিরও চেয়ারপার্সন৷ যেখানে বিপর্যয় মোকাবিকার দায়িত্ব মুখ্যমন্ত্রী ও মুখ্যসচিব রয়েছেন, সেখানে তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ হাস্যকর৷ 

এছাড়াও ২৮ মে রাজ্য সরকারের অধীনে কর্তব্যরত একজন আইএএস অফিসারকে নোটিশ পাঠানো হল৷ কেন্দ্র আইএএস অফিসারদের উপর প্রত্যক্ষভাবে হুকুম চালাতে পারে না৷ এছাড়াও আলাপনবাবুকে দিল্লি বদলির বিষয়টি পোস্টিং অর্ডার ছিল না৷ ছিল ইন্টিমেশন৷ তাছাড়া কেন্দ্রীয় সরকারের দফতরে যাওয়ার আগে রাজ্য সরকারের মত নিতে হয়৷ নিয়ম অনুযায়ী কেন্দ্র রাজ্যকে জানাবে, তারা কোন অফিসারকে নিতে চায়৷ রাজ্য সরকার সম্মত হলে তিনি যেতে পারেন৷ কেন্দ্র আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে যে আচরণ করছে, তা যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামোকে দুর্বল করে দিচ্ছে৷ কোনও আমলাকে এভাবে ডাকা যায় না৷ 
 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

4 × five =