IAS হতে হতে না পেরে অপরাধ জগতে পা! মেধাবী দেবাঞ্জনের জীবন যেন চিত্রনাট্য

IAS হতে হতে না পেরে অপরাধ জগতে পা! মেধাবী দেবাঞ্জনের জীবন যেন চিত্রনাট্য

6ed3ca514a1789492345f34861b1cd7d

কলকাতা:  খাস কলকাতায় ভুয়ো ভ্যাকসিন সেন্টার নিয়ে তোলপাড় রাজ্য৷ আর গোটা কর্মকাণ্ডের পিছনে রয়েছেন দেবঞ্জন দেব নামে ২৮ বছরের এক যুবক৷ লুকিয়ে রয়েছে এক চাঞ্চল্যকর কাহিনী৷ তাঁর অতীত সিনেমার চিত্রনাট্যকেও হার মানায়৷  কেন ভুয়ো আইএএস পরিচয়ে এই ক্যাম্প খুলেছিলেন দেবাঞ্জন? কসবা প্রতারণা কাণ্ডে উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য৷ 

আরও পড়ুন- মুকুলের বিধায়ক পদ খারিজের দাবিতে অনড় শুভেন্দু, আদালতে যাওয়ার হুঁশিয়ারি

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে ধৃত দেবাঞ্জন দেব জেনেটিক্সে এমএসসি৷ কলকাতার প্রথম শ্রেণির ক্লাবে ক্রিকেটও খেলেছেন তিনি৷ তাঁর বাবা ডেপুটি এক্সাইস কালেক্টর পদে কর্মরত ছিলেন৷ ২০১১ সালে অসবর নেন৷ দেবাঞ্জনেরও ইচ্ছে ছিল বাবার মতো আইএএস হওয়ার৷ কিন্তু পরীক্ষায় সফল না হওয়ায় বেছে নেন অন্ধকার জীবনের পথ৷ বাবার কাছ থেকে গাড়ি নিয়ে সেখানে নীল বাতি ও বিভিন্ন স্টিকার লাগান৷ নীল বাতি লাগানো ওই গাড়িতেই জাল নথি নিয়ে ঘুরতেন তিনি৷ নিজেকে উচ্চ পদস্থ সরকারি আধিকারিক পরিচয় দিতে একের পর এক জাল নথি তৈরি করেছিলেন দেবাঞ্জন৷ এমনকী কসবার রাজডাঙায় পুরসভার নামে একটি অফিসও খোলেন৷

পুলিশের দাবি, কলকাতা পুরসভার জাল নথি ব্যবহার করে স্বাস্থ্য ভবনে চিঠি লিখে ভ্যাকসিনের আবেদন জানিয়েছিলেন দেবাঞ্জন৷ কসবার ভ্যাকসিন ক্যাম্প থেকে উদ্ধার হওয়া টিকাগুলি জাল কিনা, তা খতিয়ে দেখার জন্য ল্যাবরেটরিতে পাঠানো হচ্ছে৷ নিজেকে আইএএস এবং কলকাতা পুরসভার জয়েন্ট কমিশনার পরিচয় দিয়েই গোটা পর্বটা চালিয়ে গিয়েছেন দেবাঞ্জন৷ এছাড়া কেন্দ্রীয় সরকারের যুগ্ম সচিব পরিচয় দিয়ে তথ্য সংস্কৃতি দফতরের কাছে ব্যক্তিগত নিরাপত্তার আবেদনও জানান৷ কেন্দ্রীয় সরকারের নথি জাল করে কী ভাবে এত বড় প্রতারণা? তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ৷ 

উল্লেখ্য, গতকাল কসবায় একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে টিকাকরণ শিবির চালাচ্ছিলেন দেবাঞ্জন দেব৷ পুলিশ জানায়, দেবাঞ্জনকে জেরা করে জানা গিয়েছে, কিছু ভ্যাকসিন বাগরি মার্কেট থেকে কিনেছিলেন তিনি৷  ফলে যাঁরা ওই ক্যাম্প থেকে ভ্যাকসিন নিয়েছেন তাঁদের মনে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে৷ কসবার রাজডাঙা থেকে আজ অভিযুক্ত দেবঞ্জন দেবকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ৷
গতকাল এই ক্যাম্পেই টিকা নেন সাংসদ মিমি চক্রবর্তী৷ মোবাইলে মেসেজ না আসায় সন্দেহ হয়৷ পরে খোঁজ খবর করতেই এই প্রতারণা ধরা পড়ে৷

আরও পড়ুন- ভুয়ো ভ্যাকসিন পেলেন শহরের শতাধিক মানুষ? মিমির ঘটনায় চরমে আতঙ্ক

মিমি বলেন, তৃতীয় লিঙ্গের মানুষ, রূপান্তরকামী, বিশেষভাবে সক্ষম মানুষ ও দুঃস্থদের সেখানে টিকা দেওয়ার আয়োজন করা হয়। ওই ক্যাম্পে আমাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়৷ আমাকে বলা হয়. আমি গেলে মানুষ উৎসাহিত হবে৷ আমি বলি, আমার যাওয়াতে যদি মানুষ উৎসাহিত হয় নিশ্চয় যাব৷ নিজেও ওখানে ভ্যাকসিন নিই৷ কিন্তু মেসেজ না আসায় খটকা লাগে৷ সার্টিফিকেট না আসায় সব খোঁজ খবর শুরু হয়৷ পুলিশকে খবর দিই৷’’ এই ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত হবে বলে জানান ফিরহাদ হাকিম৷ 
 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *