শুভেন্দুর শব্দচয়নে আপত্তি স্পিকারের! ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগানে উত্তাল বিধানসভা, বয়কট

শুভেন্দুর শব্দচয়নে আপত্তি স্পিকারের! ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগানে উত্তাল বিধানসভা, বয়কট

56062758b4bff0eb5a166bef62cc52ba

কলকাতা: মঙ্গলবার বাজেট অধিবেশনের শুরুতেই বিধানসভায় হই হট্টগোল শুরু হয়ে যায়। রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিংসার অভিযোগ নিয়ে আলোচনার দাবিতে বিধানসভায় বিজেপির বিক্ষোভকে কেন্দ্র করে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। বিধানসভা অধিবেশনের প্রথমার্ধে আজ রাজ্যপালের ভাষণের ওপর সভায় আলোচনা চলে। কিন্তু অধিবেশনের শুরুতে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে বিজেপি সদস্যরা ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে মুলতবি প্রস্তাব এনে আলোচনার দাবি জানান। অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় ওই আলোচনার অনুমতি না দেওয়ায়, বিজেপি বিধায়করা উঠে দাঁড়িয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। হই হট্টগোলে সভার কাজ কিছুক্ষণ ব্যাহত হয়।

বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারির শব্দ চয়ন নিয়ে আপত্তি জানান অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন বিধানসভায় শুভেন্দু অধিকারী শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জির জন্মদিনে শ্রদ্ধা জানিয়ে বক্তব্য শুরু। তিনি বলেন, শ্যামাপ্রসাদের জন্যই সকলে ভারতে থাকার সুযোগ পেয়েছে। তিনি আরও বলেন, শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের দল ৭৭ আসন পেয়ে এসেছে এবার। মানুষকে ধন্যবাদ জানাতে চান তিনি যে মাননীয় মুখ্যমন্ত্রীকে পরাস্ত করে এখানে পৌঁছাতে পেরেছেন তিনি। পরবর্তী ক্ষেত্রে শুভেন্দুর বক্তব্যে শব্দ চয়ন নিয়ে আপত্তি করেন স্পিকার। প্রতিবাদে কাগজ ছিড়ে ওয়াক আউট করে বিজেপি। এই প্রেক্ষিতে স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় মন্তব্য করেন যে, বিরোধী দলনেতার আচরণ নিন্দনীয়। বিজেপির আচরণের নিন্দা করেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ও। পরে নিন্দা প্রস্তাব গৃহীত হল সভায়, ধ্বনি ভোটে গৃহীত হয় নিন্দা প্রস্তাব। পার্থ বলেন, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী জ্ঞান কম। এরপর বিধানসভা বয়কট করে বিরোধীরা। চিৎকার করতে শুরু করে তাঁরা জয় শ্রীরাম, জয় ভারত স্লোগান দিয়ে। 

আরও পড়ুন- প্রয়াত মুকুল-পত্নী কৃষ্ণা রায়, চেন্নাইয়ের হাসপাতালে জীবনাবসান

আবার, বিজেপির তরফ থেকে মন্তব্য করা হয়, ভুয়ো ভ্যাকসিন নিয়ে জালিয়াতি চলছে রাজ্যে। ভুয়ো আইএস এ রাজ্যে শাসক দলের সঙ্গে সখ্যতা দেখাচ্ছে। সরকারি মন্ত্রীদের সাথে ঘুরে যাচ্ছে, এটা ভুয়ো সরকার। এই ইস্যুতে তৃণমূলের তরফে বলা হয়, ভ্যাকসিনের জালিয়াতির অভিযোগে তাঁরা অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছেন এবং তাদের বিরুদ্ধ ব্যবস্থা করেছে সরকার। কিন্তু উত্তর প্রদেশ, গুজরাট সেখানে কেন ব্যাবস্থা নেওয়া হল না, তার প্রশ্ন তোলা হয়।   

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *