সৌমিত্রর পর রাজীব, দলের অন্দরে কোনঠাসা শুভেন্দু? গুরুত্ব দিতে নারাজ বিরোধী নেতা

সৌমিত্রর পর রাজীব, দলের অন্দরে কোনঠাসা শুভেন্দু? গুরুত্ব দিতে নারাজ বিরোধী নেতা

কলকাতা:  বিধানসভায় দলের ভরাডুবি হলেও, বিজেপি’র অন্দরে উত্থান ঘটেছে শুভেন্দু অধিকারীর৷ নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হারিয়ে বিধানসভার বিরোধী দলনেতা হয়েছেন তিনি৷ বারেবারে ছুটে যাচ্ছেন দিল্লির দরবারে৷ কিন্তু দলের মধ্যেই তাঁর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে৷ বলা ভালো দলের অন্দরে কোণঠাসা শুভেন্দু অধিকারী৷ 

আরও পড়ুন- কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে ভুল বুঝিয়ে নিজেকে জাহির করছেন বিরোধী দলনেতা, ক্ষোভ উগড়ালেন সৌমিত্র

আজ যুব মোর্চার সভাপতি পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে শুভেন্দুকে একহাত নেন সৌমিত্র৷ রীতিমতো তাঁর বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দেন বিষ্ণুপুরের সাংসদ৷ এর পরেই শুভেন্দুকে নিশানা করেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়৷ সোশ্যাল মিডিয়ায় বিরোধী দলনেতাকে উদ্দেশ্য করে তিনি লেখেন, ‘‘যাঁর নেতৃত্বে ও যাঁকে দেখতে চেয়ে বাংলার মানুষ ২১৩টি আসনে তাঁর প্রার্থীদের ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছেন, সেই মুখ্যমন্ত্রীকে অযথা আক্রমণ না করে সাধারণ মানুষের দুর্দশা মুক্তির জন্য পেট্রোল, ডিজেল ও রান্নার গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি হ্রাস করাই এখন একমাত্র লক্ষ্য হওয়া উচিত৷’’ উল্লেখ্য, সেই চেনা নীল ব্যাকগ্রাউন্ডে এই পোস্ট করেছেন রাজীব৷ তাঁর বক্তব্যে স্পষ্টটই ফুটে উঠেছে তৃণমূলের প্রতি সমর্থন৷ 

এদিকে আজ সৌমিত্র বলেন, এখন বিধানসভার যিনি দলনেতা হয়েছেন, তিনি নিজেকে জাহির করছেন, দলকে নয়৷ বর্তমান যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে তাতে যুব মোর্চাকে চালানো সম্ভব ছিল না৷ তাই ইস্তফা৷ দুঃখের বিষয়, উনি বারবার দিল্লি গিয়ে নেতাদের ভুল বুঝিয়ে দেখাতে চাইছেন, তিনি সবচেয়ে বড় বিজেপি নেতা৷ এক সময় তিনি দেখাতেন তৃণমূলের বড় নেতা৷ 

আরও পড়ুন- হঠাৎ পদত্যাগ সৌমিত্রের! ছেড়ে দিলেন বিজেপি যুব সভাপতির জায়গা

যদিও এ সব মন্তব্যকে গুরুত্ব দিতে নারাজ শুভেন্দু৷ তিনি বলেন, ‘‘আমি কোনও মন্তব্য করব না৷ অনেকেরই এমন অভ্যাস রয়েছে৷ এগুলোকে গুরুত্ব না দেওয়াই ভালো৷ যেদিন  রাজ্য মন্ত্রিসভা গঠন হয়েছিল সেদিনও যাঁরা ফেসবুক করতে ভালোবাসেন তাঁরা মধ্যরাতেও নানা মন্তব্য করেছিলেন৷ তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়কদের ফেসবুকও দেখছিলাম৷ কেউ গুরুত্ব দেয়নি৷ তেমনই এই ফেসবুক লাইভকেও গুরুত্ব দিচ্ছি না৷ সৌমিত্র খাঁ আমার ভাই৷ উনি আমরা রাজনৈতিক সতীর্থ৷ এটা কোনও ব্যাপার নয়৷ ’’

শুভেন্দু আরও বলেন, ‘‘আমি সৌমিত্রর শ্রীবৃদ্ধি কামনা করি৷ সৌমিত্র যখন কংগ্রেস-তৃণমূল কংগ্রেসের জোট প্রার্থী হয়েছিলেন, তখনও ওঁর হয়ে কোতলপুরে প্রচার করেছিলাম৷ অনেকেই মনের কথা খুলে বলে৷ এটাকে খারাপ ভাবে নেওয়ার কিছু নেই৷ ’’           
 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

thirteen − two =