শপথবাক্য পাঠ করতে গিয়ে হোঁচট খেলেন বাংলার ৪ মন্ত্রী!

শপথবাক্য পাঠ করতে গিয়ে হোঁচট খেলেন বাংলার ৪ মন্ত্রী!

3bf0d34bac82b77354c0b178c11f17f7

নয়াদিল্লি: কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় বাংলার ৪ বিজেপি সাংসদ৷ শপথবাক্য পাঠ করতে গিয়ে হোঁচট খেলেন শান্তনু ঠাকুর! মাঝপথে থেমে গেলেন জন বার্লা৷ বাংলা টানে হিন্দিতে শপথপাঠ সুভাষ সরকারের! শপথ শেষের মুখে কিছুটা ইতস্তত নিশীথ প্রামাণিক৷

বাংলা দখলের স্বপ্ন ভেঙছে। এখন নজরে চব্বিশের লোকসভা নির্বাচন। আর সেই কারণেই বাংলায় নিজেদের দখলে থাকা ভোটবাক্স অক্ষুন্ন রাখতে মরিয়া গেরুয়া শিবির। মোদী সরকারের মন্ত্রিসভার রদবদল দেখে কিছুটা সেই ইঙ্গিতই স্পষ্ট।

নতুন কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় বাংলার ১৮ জন সাংসদের মধ্যে জায়গা পেলেন চারজন। তাঁরা হলেন আলিপুর দুয়ারের সাংসদ জন বারলা, কোচবিহারের সাংসদ নিশীথ প্রামাণিক, বাঁকুড়ার সাংসদ ডাঃ সুভাষ সরকার ও বনগাঁ লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ শান্তনু ঠাকুর।

বুধবার রাষ্ট্রপতি ভবনের দরবার হলে মোট ৪৩ জন হেভিওয়েট কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সঙ্গে মন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন এই ৪ বাঙালি। কিন্তু, কেমন ছিল এই শপথ গ্রহণের অনুষ্ঠান! বাংলা টানে হিন্দিতে শপথ বাক্য পাঠ করলেন বাঁকুড়ার সাংসদ ডাঃ সুভাষ সরকার। সংঘ ঘনিষ্ঠ হওয়ার পাশাপাশি জনসেবার জন্যও জঙ্গলমহলে বেশ নামডাক আছে ডাক্তারবাবুর। সেই জনসংযোগকে কাজে লাগিয়ে উনিশের ফলাফলের পুনরাবৃত্তি করতে চাইছে পদ্ম শিবির।

শপথবাক্য পাঠ করতে গিয়ে হোঁচট খেলেন বনগাঁ লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ শান্তনু ঠাকুর। বিধানসভা ভোটে উত্তর ২৪ পরগনা-সহ গোটা রাজ্যে খারাপ ফল করলেও মতুয়া অধ্যুষিত বেশ কয়েকটি আসন ধরে রাখতে পেরেছে বিজেপি। ২০২৪ লোকসভাতেও সেই ভোট দখলে রাখতে শান্তনুকে মন্ত্রী নির্বাচন।

থমকে থমকে শপথ বাক্য পড়লেন আলিপুরদুয়ারের সাংসদ জন বার্লা। জেলার সবকটি আসনে জয়ের পাশাপাশি জন বার্লার লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত কালচিনি, কুমারগ্রাম, ফালাকাটা, মাদারিহাট, আলিপুরদুয়ার, তুফানগঞ্জ ও নাগড়াকাটায় জয় পেয়েছে বিজেপি।

ইংরাজিতে শপথ নিলেন কোচবিহারের সাংসদ নিশীথ প্রামাণিক। বিধানসভা নির্বাচনে কোচবিহার-সহ গোটা উত্তরবঙ্গে রাজ্যের অন্যান্য প্রান্তের তুলনায় ভাল ফল করেছে গেরুয়া শিবির। তাই নিশীথ প্রমাণিককে মন্ত্রিত্বের পুরষ্কার দিলেন মোদী-শাহ।

পুরনোদের সরিয়ে শুধু নতুনদের উপর আস্থা রাখাই নয়, বাংলার কপালে হঠাৎই যেন শিকে ছিঁড়ল! বিধানসভার জনাদেশ বিপক্ষে যাওয়া সত্ত্বেও বাংলার মন্ত্রী প্রাপ্তি চার অর্থাৎ আগের চেয়ে দ্বিগুণ। কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছাকাছি থাকা বাদ পড়লেন বাবুল সুপ্রিয়, দেবশ্রী চৌধুরী।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *