দার্জিলিং: পাহাড়ের রাজনীতি নিয়ে দীর্ঘ সময় ধরে জটিলতা রয়েছে। পরিস্থিতি হাতিয়ার করে অনেক সময় ধরেই বাংলায় রাজনৈতিক যুদ্ধ হয়েছে যা এবারের বিধানসভা নির্বাচনেও বহাল ছিল। এবার গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা বড় ধাক্কা খেলো কারণ সভাপতি পদ থেকে ইস্তফা দিলেন বিনয় তামাং। স্বাভাবিকভাবে এই পদত্যাগের খবরে কৌতূহল সৃষ্টি হয়েছে বাংলার রাজনৈতিক মহলেও। সূত্রের খবর, বিনয় তামাং দলের প্রাথমিক সদস্যপদও ছেড়ে দিয়েছেন।
নির্বাচনে দলের ব্যর্থতার দায় সম্পূর্ণ নিজের কাঁধে নিয়েই এই পদত্যাগ করেছেন বিনয় তামাং। তবে মনে করা হচ্ছে তিনি বিমল গুরুংয়ের সঙ্গে হাত মেলাতে পারেন। আর যদি সেটা হয় তাহলে পাহাড়ে বিনয় পন্থী বলে আর কিছু থাকবে না। সেই প্রেক্ষিতেই আগের মতই আবার মোর্চা এক মঞ্চে আসার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে কারণ কাধে কাধ মেলানোর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বিনয় এবং বিমলের। এই পদত্যাগ ইস্যুতে ইতিমধ্যেই বিমল গুরুং মন্তব্য করে বলেছেন, বিনয় তামাংকে তিনি ধন্যবাদ জানাচ্ছেন। পাহাড়, তরাই এবং ডুয়ার্সের জন্য একসঙ্গে কাজ করতে চান তিনি। সেই সঙ্গে দলের পতাকা নিয়ে যে আইনি লড়াই চলছিল সেটাও এখন আর থাকবে না। যদিও এখন সবার মনে একটাই প্রশ্ন জেগেছে যে এই পদত্যাগ করে রাজনীতি থেকে সরে যাবেন কিনা বিনয় তামাং। এই প্রশ্নের উত্তর আপাতত তিনি দিয়ে বলেছেন যে এখনই রাজনীতি ছাড়ছেন না তিনি।
আরও পড়ুন- বিধিনিষেধ মেনে পড়শি রাজ্যে খুলছে স্কুল, সেই পথে যেতে নারাজ বাংলা
তবে এখন অনেকেই মনে করছেন যে পদত্যাগ করে হয়তো নতুন কোন দল গঠন করতে পারেন বিনয় তামাং, যদিও সেই সম্ভাবনা তুলনায় অনেক কম। কারণ ২০১৯ এবং ২০২১ সালের নির্বাচনে তিনি সেই ভাবে দাগ কাটতে পারেন নি তাই নতুন দল গঠন করে আবার কতটা সক্রিয় হতে পারবেন তা নিয়ে সন্দেহ থেকেই যাচ্ছে। এদিকে বিমল গুরুংয়ের সঙ্গে হাত মিলিয়ে নিজের রাজনৈতিক জীবনের নতুন অধ্যায় আবারো শুরু করার পদক্ষেপ নেবেন বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশের। সে ক্ষেত্রে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার ভবিষ্যৎ কী হবে তাই দেখার।