উপনির্বাচনে জোর, ভোটযন্ত্র পরীক্ষা শেষ করার ‘ডেডলাইন’ জারি

উপনির্বাচনে জোর, ভোটযন্ত্র পরীক্ষা শেষ করার ‘ডেডলাইন’ জারি

fe211a5393e58a13c13d4d1018ce862b

কলকাতা:  রাজ্যে উপনির্বাচন সংগঠিত করার জন্য বেশ কয়েকদিন ধরেই তোড়জোড় শুরু করেছে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। অনেক আগেই দলের সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেছিলেন যে রাজ্যে উপনির্বাচন সংগঠিত করতে তৈরি। বাংলার করোনাভাইরাস পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে চলে এসেছে বলে দাবি করে শাসকদলের প্রতিনিধিদল দিল্লি পর্যন্ত গিয়েছে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বৈঠক করতে। এবার রাজ্য নির্বাচন দফতর উপনির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু করে দিল। ইতিমধ্যেই ইভিএম মেশিন এবং ভিভিপ্যাট পরীক্ষার কাজ শেষ করার সময়সীমা বেঁধে দিয়েছে তারা। 

জানা গিয়েছে, ভবানীপুর সহ রাজ্যের পাঁচটি কেন্দ্রের উপনির্বাচনের জন্য ভোট যন্ত্র পরীক্ষার কাজ অগস্টের প্রথম সপ্তাহে শেষ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে রাজ্য নির্বাচন দফতরের তরফে। অনুমান করা হচ্ছে অগাস্টের শেষেই বা সেপ্টেম্বরের শুরুতে রাজ্যে উপনির্বাচন হতে পারে। যদিও এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন। শাসকদল সম্পূর্ণভাবে উপনির্বাচন করাতে চাইলেও বাংলার বিরোধী দল বিজেপি শিবির এখনই উপনির্বাচন চাইছে না। তারা রাজ্যের করোনাভাইরাস পরিস্থিতিকেই হাতিয়ার করছে। তাদের বক্তব্য, রাজ্য সরকার এখনো পর্যন্ত লোকাল ট্রেন চালাতে পারছে না করোনাভাইরাস পরিস্থিতির জন্য। তাহলে নির্বাচন কী করে সংঘটিত হবে। যদিও এই উপনির্বাচনেও সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ আসন হয়ে উঠছে ভবানীপুর কারণ সেখান থেকেই নির্বাচনে দাঁড়ানোর কথা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। বিধানসভা নির্বাচনে নিজের কেন্দ্র থেকে জিততে পারেননি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই নিয়ম অনুযায়ী তাঁকে নির্বাচনের ছয় মাসের মধ্যে উপনির্বাচনে জিতে আসতে হবে। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা দাবি করছে যে এই কারণেই তৃণমূল কংগ্রেস উপনির্বাচনে আরো বেশি জোর দিচ্ছে। যদিও ঠিক এই জায়গাতেই বাধা দেওয়ার চেষ্টা করছে বিজেপি।

আরও পড়ুন- অত্যাচারীদের বিরুদ্ধে গর্জে ওঠার ডাক, শহিদ দিবসে টুইট মমতা-অভিষেকের

উল্লেখ্য, রাজ্যে যে পাঁচটি বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন হবে, সেগুলি হল— ভবানীপুর, খড়দহ, বাসন্তী, শান্তিপুর এবং দিনহাটা। জঙ্গিপুর ও সামশেরগঞ্জে  নির্বাচনের যাবতীয় প্রস্তুতি বিধানসভা ভোটের আগেই সারা হয়ে গিয়েছিল। কারণ, ওই দু’টি আসনে ভোট স্থগিত ছিল প্রার্থীদের মৃত্যুতে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *