কলকাতা: অবশেষে কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করল তৃণমূল। দলীয় বিধায়ককে প্রকাশ্য জনসভা থেকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগে এবার শাস্তির মুখে পড়লেন দলেরই অপর বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। শুক্রবার রীতিমতো সাংবাদিক বৈঠক করে সেকথা জানিয়ে দিলেন তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়৷ পার্থবাবু বলেন, ‘‘দলের বিধায়ক রবিউল আলমকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগে দলেরই আরেক বিধায়ক হুমায়ুন কবীরকে শোকজ করা হল৷ উনি প্রকাশ্যে কেন এমন হুমকি দিলেন, তা জানতে চাওয়া হয়েছে৷ সদুত্তর না পেলে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে৷’’
বৃহস্পতিবার শক্তিপুরে একটি সভা ছিল। সেখান থেকেই রবিউলকে হুমকি দিয়ে হুমায়ুনকে বলেন, ‘‘খুব সাবধান, আমার সঙ্গে পাঙ্গা নিও না। মেরে হাড়গোড় এক করে দেব।’’ হুমায়ুনের ওউ হুমকি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যাওয়ার পরই নড়ে চড়ে বসেন শীর্ষ নেতৃক্ব৷ এবিষয়ে দলের কাছে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছিলেন রবিউলও৷ দলের সিংহভাগ অংশও চাইছিলেন এবিষয়ে প্রয়োজনীয় হস্তক্ষেপ গ্রহণ করা হোক৷
কারণ, মুর্শিদাবাদে রবিউল আর হুমায়ুনের বিবাদ নতুন নয়৷ দু’জনেই কংগ্রেসে থাকাকালীন পরস্পরের সঙ্গে একাধিকবার বিবাদে জড়িয়েছেন৷ দলবদলে দু’জনেই তৃণমূলে এসেছেন, দলের টিকিটে বিধায়ক হয়েছেন৷ কিন্তু পরস্পর পরস্পরের বিরুদ্ধে প্রকাশ্য বিবাদ থেকে সরেননি৷ তারই জেরে তাঁদের অতীতেও সতর্ক করা হয়েছিল বলে দলীয় সূত্রের খবর৷ কিন্তু তারপরে ওই হুমকি জেরে আর চুপ করে বসে থাকেনি নি শীর্ষ নেতৃত্ব৷
দলের রাজ্যস্তরের এক নেতার কথায়, ‘‘বিধানসভার ফল প্রকাশের পর স্বয়ং নেত্রী সকলকে সতর্ক করে বলেছিলেন- দলবিরোধী বা জনবিরোধী কোনও মন্তব্য পা পদক্ষেপ করা যাবে না৷ কিন্তু উনি যেভাবে প্রকাশ্য মঞ্চ থেকে হুমকি দিয়েছেন তা দলের নীতির পরিপন্থী৷ তাই এই পদক্ষেপ৷’’ হুমায়ূন কি জবাব দেন, সেদিকেই আপাতত তাকিয়ে রাজনৈতিক মহল৷ যদিও এবিষয়ে হুমায়ুনের কোনএ প্রতিক্রিয়া এখনও পাওয়া যায়নি৷