হাওড়া: বাবুলের দায়বদ্ধতা থাকা উচিত আসানসোলের মানুষের কাছে। তাই দল ছাড়ছি ফেসবুকে নাটক না করে ওনার উচিত লোকসভার স্পিকারের কাছে পদত্যাগপত্র পাঠানো। হাওড়ায় এসে বাবুল প্রসঙ্গে এমনই মন্তব্য করলেন তৃণমূল নেত্রী সুজাতা মণ্ডল।
রবিবার হাওড়ার ডোমজুড়ে এক রক্তদান শিবিরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি বিজেপি নেতা বাবুল সুপ্রিয় ও সৌমিত্র খাঁ প্রসঙ্গে প্রতিক্রিয়া দেন। এদিন তিনি সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বলেন, “বাবুল সুপ্রিয় কবে স্বস্তিতে ছিলেন কবে ছিলেন না সেটা খুব একটা মাথা ব্যথার বিষয় নয়। তিনি রাজনৈতিক নেতা হিসেবেও নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে পারেননি। রাজনৈতিক নেতা হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে পারলে তিনি নির্বাচনে হারের পরে বা ‘হাফপ্যান্ট’ মন্ত্রিত্ব চলে যাওয়ার পরে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করতে পারতেন না রাজনীতি ছাড়ছেন বলে। এটা যদি ‘দরাদরি’ না হয়ে ছাড়ার ইচ্ছা থাকে তাহলে ফেসবুকে নাটক না করে সরাসরি স্পিকারকে উনি পদত্যাগপত্র পাঠান। উনি একজন স্বার্থপর দায়িত্বজ্ঞানহীন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। কারণ ওনার দায়বদ্ধতা মন্ত্রিত্বের চেয়ারে নয়, ওনার দায়বদ্ধতা আসানসোলের মানুষের কাছে। এখন আসানসোলের মানুষ বুঝতে পেরেছে কত বড় ভুল হয়েছিল। সেই জন্য পশ্চিমবঙ্গের মানুষ ২০১৯ এর ভুল ২০২১এ শুধরে নিল।”
সৌমিত্র খাঁ বিজেপিতে অস্বস্তিতে আছেন কিনা এর উত্তরে সুজাতা বলেন, “বিজেপিতে কার্বন-ডাই অক্সাইড এতটাই বেড়ে গেছে যে কে স্বস্তিতে, আর কে অস্বস্তিতে আছেন বোঝা যাচ্ছে না। সেই কারণেই গোষ্ঠী কোন্দল মারপিটের মতো ঘটনা হচ্ছে। ওদের যা অবস্থা বিজেপির সভাপতিকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দেওয়ার মতো। বিরোধী দলনেতা এক পথে আর রাজ্য সভাপতি অন্য পথে চলছেন। সাংসদ, বিধায়করা আলাদা আলাদা পথে চলছেন। বিজেপি কর্মীরা নিজেদের মধ্যে ঝগড়া মারপিট লড়াই খুনোখুনি করছেন, আর সেই দায় চাপাচ্ছেন তৃণমূল কর্মীদের উপর। বিজেপি অপপ্রচার চালাচ্ছে যে আমরা নাকি রক্তের হোলি খেলছি। ওদের মতো আমরা রক্তের হোলি খেলিনি। আমরা রক্ত দিয়ে মানুষকে বাঁচানোর জন্য প্রতিটি জায়গায় রক্তদান শিবিরের আয়োজন করে চলেছি। আসলে ওদের বিপুল হার চরম হতাশা জন্ম নিয়েছে। বিজেপি বুঝতে পেরেছে তৃণমূল সরকারকে সরানো কম কথা নয়। সেই কারণে এরা ভয় পেয়ে গিয়েছে। এখন তৃণমূল বাংলা থেকে তাদের সরিয়েছে। পরবর্তীকালে তাদের দেশ থেকে সরাবে।”