কলকাতা: ফেসবুক পোস্টে রাজনৈতিক সন্ন্যাস গ্রহণের কথা ঘোষণা করার পর থেকই চর্চায় বাবুল সুপ্রিয়৷ এরই মধ্যে তাঁর তৃণমূলে যোগদানের জল্পনা উস্কে দিলেন রাজ্যের আইন ও পূর্ত দফতরের মন্ত্রী মলয় ঘটক৷ তাঁর কথায়, ধীরে ধীরে রাজ্যের সমস্ত মন্ত্রীরাই ইস্তফা দেবেন৷ মোদী সরকারের জনবিরোধী নীতির প্রতিবাদে এভাবেই তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়বে বঙ্গ বিজেপি৷ এমন একটা দিন আসবে যে বিজেপি দফতরের তালা খোলার মতো কেউ থাকবে না৷ আর সেই দিনটা খুব শীঘ্রই আসবে৷ বাবুলের ফোসবুক পোস্টে এমনই প্রতিক্রিয়া মলয় ঘটকের৷
আরও পড়ুন- ফেসবুকে নাটক না করে বাবুলের উচিত স্পিকারের কাছে পদত্যাগপত্র পাঠানো: সুজাতা
প্রসঙ্গত, ময়ল ঘটক হলেন আসানসোল উত্তরের বিধায়ক৷ আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত তাঁর বিধানসভা কেন্দ্রটি৷ এর আগে বহুবার আসানসোলের সাংসদ বাবুলের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন তিনি৷ বলেছেন, তাঁকে নাকি দেখতেই পায় না আসানসোলের মানুষ৷ রবিবার আসানসোলে তৃণমূল কংগ্রেসের লিগাল সেলের একটি অনুষ্ঠানে এসে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়েছিলেন মলয় ঘটক৷ সেখানে বাবুলের তৃণমূলে যোগদান নিয়ে তাঁকে প্রশ্ন করা হলে মন্ত্রী মলয় বলেন, ‘‘এটা দলের সিদ্ধান্ত। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথাই এই ব্যাপারে চূড়ান্ত হবে৷’’
আরও পড়ুন- ভোটে হেরেও জল যন্ত্রণা মেটাতে ‘ত্রাতা’ সায়নী, ‘বেপাত্তা’ অগ্নিমিত্রা
সেই সঙ্গে বাবুলের বিরুদ্ধে তোপ দেগে বলেন, ২০১৪ সাল থেকে আসানসোলের সাংসদ রয়েছেন বাবুল সুপ্রিয়। তিনি এতদিন মন্ত্রীও ছিলেন৷ অথচ তিনি হিন্দুস্তান কেবলস, বার্ন স্ট্যান্ডার্ড সহ একাধিক রুগ্ন রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাকে বাঁচানোর জন্য কোনও পদক্ষেপই করেননি৷ এমনকী তাঁর আমলে অনেক কেন্দ্রীয় শিল্প সংস্থায় তালাও ঝুলেছে। বহু মানুষ কাজ হারিয়ে বেকার হয়েছেন৷ সাংসদ তথা তৎকালীন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হিসেবে আসানসোল-দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চলের পুনরুজ্জীবনে কোন ভূমিকা পালন করেছেন বাবুল? আসানসোলে যতটুকু উন্নয়ন হয়েছে সেটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্যই৷