প্লাবিত বহু এলাকা, হয়রানি প্রচুর মানুষের, পরিদর্শনে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী

প্লাবিত বহু এলাকা, হয়রানি প্রচুর মানুষের, পরিদর্শনে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী

cd8af855230579037340c5f92ab166a5

কলকাতা: বিগত কয়েক দিন ধরেই টানা বৃষ্টিতে জেরবার হয়েছে রাজ্য। শহর কলকাতা তো বটেই একাধিক জেলার বিভিন্ন জায়গায় প্লাবিত হয়ে গিয়েছে টানা বৃষ্টির ফলে। এখনো পর্যন্ত বিভিন্ন এলাকা জলমগ্ন এবং ব্যাপক হয়রানির শিকার সাধারণ মানুষ। এই পরিস্থিতিতে এবার বন্যা প্লাবিত এলাকা পরিদর্শনে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সূত্রের খবর, আগামীকাল হুগলির খানাকুল এলাকা পরিদর্শনে যাচ্ছেন তিনি।

একধারে টানা বৃষ্টি অন্যদিকে ডিভিসির জল ছাড়া, সব মিলিয়ে জলমগ্ন রাজ্যের একাধিক জেলার বিভিন্ন এলাকা। তিন, চার দিন কেটে গেলেও এখনো পর্যন্ত বেশিরভাগ এলাকা থেকে জল নামেনি। এমতাবস্থায় সেই সব এলাকার বাসিন্দাদের পরিস্থিতি বিভীষিকাময়। এমন অনেক মানুষ রয়েছেন যারা ত্রাণশিবিরে দিন কাটাচ্ছেন। তাই এবার এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে সেখানকার মানুষের সুরাহা করার চেষ্টা করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জানা গিয়েছে বুধবার খানাকুল গিয়ে বন্যাদুর্গতদের সঙ্গে কথা বলবেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে বায়ুসেনার হেলিকপ্টার করে প্লাবিত এলাকার বাসিন্দাদের উদ্ধার করার কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। ইতিমধ্যেই অতিবৃষ্টির জেরে দক্ষিণবঙ্গে প্রাণ হারিয়েছেন ১৬ জন৷ সেই প্রেক্ষিতে নিহতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে রাজ্য সরকার৷ মৃতদের পরিবারকে ২ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ মৃতদের পরিবারের হাতে দ্রুত এককালীন ২ লক্ষ টাকার চেক তুলে দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট জেলাশাসকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে নবান্ন সূত্রে খবর৷ 

আরও পড়ুন- এবার পুলিশের জালে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার কমিশনের ভুয়ো চেয়ারম্যান

সোমবার নবান্নে মন্ত্রিসভার বৈঠকে মৃতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার পাশাপাশি জেলাগুলির বন্যা পরিস্থিতি নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী৷ বন্যা কবলিত এলাকাগুলি পরিদর্শনে যাওয়ার জন্য মন্ত্রীদের নির্দেশও দেন তিনি৷ দুর্গতদের কাছে যাতে ঠিক ভাবে ত্রাণ পৌঁছে দেওয়া হয়, সেই নির্দেশও দেওয়া হয়েছে৷ প্রয়োজনে এলাকায় গিয়ে নজরদারি চালাতে হবে বলেও নির্দেশ তাঁর৷ দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হাওড়া, পশ্চিম মেদিনীপুর, দুই বর্ধমান ও বাঁকুড়া-সহ দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় জল থৈ থৈ অবস্থা৷ কাঁচা ঘরের দেওয়াল ভেঙে কোথাও আবার বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মোট ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এরই মধ্যে সোমবার ঘাটাল পরিদর্শনে যান পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *