মুখ্যমন্ত্রীর মতে ‘ম্যান মেড বন্যা’, এলাকা পরিদর্শনেও দাবি মমতার

মুখ্যমন্ত্রীর মতে ‘ম্যান মেড বন্যা’, এলাকা পরিদর্শনেও দাবি মমতার

01d43b8e98bdb45657a1e26302a226d0

কলকাতা: জলাধার এবং নদীগুলির নাব্যতা কমে জল ধারণ ক্ষমতা কমে যাওয়ার জন্যেই রাজ্যে বারবার বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে বলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন। অতিবৃষ্টির জেরে রাজ্যের বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী আজ মুখ্যমন্ত্রীকে ফোন করে কোন জেলার কি অবস্থা, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ, প্রাণহানির সংখ্যা সহ সামগ্রিক পরিস্থিতির খোঁজখবর নেন। তখনই মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যের সঙ্গে পরামর্শ না করেই ডিভিসি তাদের জলাধারগুলি থেকে নিজেদের ইচ্ছামত জল ছাড়ছে এবং নিয়মিত পলি পরিষ্কার করছে না বলেও প্রধানমন্ত্রীর কাছে ক্ষোভ প্রকাশ করেন বলে নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে। এটি ‘ম্যান মেড বন্যা’ বলেও মুখ্যমন্ত্রী জানান। পরিস্থিতি সামাল দিতে কী কী পদক্ষেপ নেওয়া যায় তা নিয়ে দুজনের মধ্যে বেশ কিছুক্ষণ আলোচনা হয়। পরে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে টুইট করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কেন্দ্র সরকার রাজ্যকে সব রকমের সহায়তা করবে বলে আশ্বাস দেওয়া হয়। 

উল্লেখ্য, লাগাতার বৃষ্টিতে দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলা প্লাবিত হয়ে গিয়েছে। অন্যদিকে, এলাকা জলমগ্ন হয়ে যাওয়ার ফলে প্রচুর মানুষ ব্যাপক সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন। বহু মানুষ এখন ত্রাণ শিবিরে রয়েছেন কারণ অনেকের বাড়ি প্লাবনে ভেসে গিয়েছে। সব মিলিয়ে পরিস্থিতি পরিদর্শনে আমতা গিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আসলে ঠিক হয়েছিল যে আজ খানাকুল পরিদর্শনে যাবেন তিনি কিন্তু খারাপ আবহাওয়ার কারণে হেলিকপ্টার করে সেখানে যাওয়া সম্ভব হয়নি তাই সড়কপথে আমতা যান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নিজে হাঁটু জলে দাঁড়িয়ে এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বললেন তিনি৷ 

আরও পড়ুন- জঙ্গিদের বিরুদ্ধে ব্যবহৃত স্পাইওয়্যার বিরোধীদের উপর কেন? শাহের ইস্তফা দাবি রাহুলের

মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আবহাওয়া এখনও স্বাভাবিক নয়৷ সকলে সতর্ক থাকবেন৷ উল্লেখ্য, উদয় নারায়নপুর যাওয়ার পথেই পড়ে আমতা৷ কিন্তু সেখান থেকে মুখ্যমন্ত্রীর কনভয় এগোতে পারেনি৷ সামনেই গলা সমান জল৷ সমস্যার মধ্যে পড়েছে কয়েক হাজার পরিবার৷ আমতার বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখার পর তিনি সেখানকার ত্রাণ শিবিরেও যান৷ সেখানে গিয়ে দুর্গতদের সঙ্গে কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *