বন্যা পরিস্থিতির জন্য মুখ্যমন্ত্রীর নিশানায় DVC, অন্য কথা বলছে কর্তৃপক্ষ

বন্যা পরিস্থিতির জন্য মুখ্যমন্ত্রীর নিশানায় DVC, অন্য কথা বলছে কর্তৃপক্ষ

9f41cef183f6b26448b747ef55bd662c

কলকাতা: লাগাতার বেশ কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে রাজ্যের একাধিক জেলায় জলমগ্ন হয়ে পড়েছে এবং বিপর্যস্ত হচ্ছে সাধারণ মানুষের জনজীবন। এই প্রেক্ষিতে আজ ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। হাওড়া এবং হুগলি জেলার বন্যা পরিস্থিতির জন্য তারাই দায়ী করেছেন ডিভিসিকে। যদিও সংস্থার দাবি রাজ্যের লিখিত অনুমতি নিয়েই তারা জল ছাড়ে এবং এ ক্ষেত্রেও তাই হয়েছে।

রাজ্যের একাধিক জেলায় বন্যা পরিস্থিতি প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, এখন বর্ষাকাল এবং বর্ষার জন্য সব জায়গায় বৃষ্টি হচ্ছে কিন্তু বন্যা পরিস্থিতি বর্ষার জন্য  হয়নি। জল ছাড়া হয়েছে সেই কারণে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। এই প্রেক্ষিতে তিনি এই বন্যা পরিস্থিতিকে man-made বলেও কটাক্ষ করেন। যদিও দামোদর উপত্যকা কর্তৃপক্ষের দাবি, জল ছাড়ার আগে লিখিত অনুমতি নেওয়া হয় এবং এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। রাজ্য সরকারের লিখিত অনুমতি নিয়েই জল ছাড়া হয়েছে। নিম্নচাপের জেরে বাঁধ গুলি জল ধারণ ক্ষমতার কাছাকাছি পৌঁছে যাওয়া জল ছেড়েছে ডিভিসি। এদিকে আবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ডিভিসি প্রসঙ্গে চিঠি লিখেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সকালে প্রধানমন্ত্রী তাঁকে বন্যা পরিস্থিতি সম্পর্কে জানার জন্যে ফোন করেছিলেন তখনও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই ব্যাপারে অভিযোগ করেন।

আরও পড়ুন- জঙ্গিদের বিরুদ্ধে ব্যবহৃত স্পাইওয়্যার বিরোধীদের উপর কেন? শাহের ইস্তফা দাবি রাহুলের

অতিবৃষ্টির জেরে রাজ্যের বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী আজ মুখ্যমন্ত্রীকে ফোন করে কোন জেলার কি অবস্থা, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ, প্রাণহানির সংখ্যা সহ সামগ্রিক পরিস্থিতির খোঁজখবর নেন। তখনই মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যের সঙ্গে পরামর্শ না করেই ডিভিসি তাদের জলাধারগুলি থেকে নিজেদের ইচ্ছামত জল ছাড়ছে এবং নিয়মিত পলি পরিষ্কার করছে না বলেও প্রধানমন্ত্রীর কাছে ক্ষোভ প্রকাশ করেন বলে নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে। এটি ‘ম্যান মেড বন্যা’ বলেও মুখ্যমন্ত্রী জানান। পরিস্থিতি সামাল দিতে কী কী পদক্ষেপ নেওয়া যায় তা নিয়ে দুজনের মধ্যে বেশ কিছুক্ষণ আলোচনা হয়। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *