কলকাতা: ভোটের সময় দিল্লি-কলকাতা ডেইলি প্যাসেঞ্জারি করে সকাল-বিকাল তাঁকে ‘ভাইপো’ বিশেষণ শুনিয়ে গিয়েছিলেন মোদী-শাহ৷ সব কিছু ঠিক থাকলে সেই ‘ভাইপো’ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্ল্যানিং-ই সারা দেশের বুকে হয়ে উঠতে পারে মডেল সেট৷ এমনটাই মত অভিজ্ঞ মহলের৷
কারণ, করোনা ভ্যাকসিনের নিরিখে ডায়মন্ড হারবার পুরসভা এলাকার একশো শতাংশ বাসিন্দাই পেয়ে গিয়েছেন প্রথম টিকা। দ্বিতীয় ডোজের নিরিখেও এলাকার প্রায় ৯০ শতাংশ মানুষ পেয়ে গিয়েছেন ভ্যাকসিন। স্থানীয় বিধায়ক পান্নালাল হালদার বলেন, ‘‘সবটাই সম্ভব হয়েছে অভিষেকের দৌলতে৷ ও (অভিষেক) একই সঙ্গে এলাকায় ডাবল পদ্ধতিতে টিকা পরিষেবা চালু রাখার পরামর্শ দিয়েছিল৷ এজন্য ভ্যাকসিন অন হুইলস পরিষেবাও ওরই মস্তিস্ক প্রসূত৷ তারই সাফল্য পেলাম আমরা৷’’
জানা গিয়েছে, এলাকায় লাইন দিয়ে মানুষকে টিকা দেওয়ার পাশাপাশি অসুস্থরা যাতে বাড়ি বসেই টিকা পান, সেজন্য গাড়িরও বন্দোবস্ত করেছিলেন অভিষেক৷ তারই জেরে ডোর টু ডোর মানুষের কাছে পৌঁছানোর উদ্যোগ নেওয়া হয় ডায়মন্ড হারবার পুরসভার তরফে৷ বাসিন্দারা বলছেন, অন্যান্য এলাকায় যেখানে ভ্যাকসিন নিয়ে মানুষের মধ্যে মারামারি হচ্ছে সেখানে আমাদের এখানে প্রায় ১০০ শতাংশ মানুষ ভ্যাকসিন নিয়ে নিয়েছেন৷ এটা নিঃসন্দেহে বিরাট বড় সাফল্য৷
বিধায়ক জানাচ্ছেন, এলাকার প্রতিটি মানুষকে আশ্বস্ত করা হয়েছিল যে অকারণ তাড়াহুড়ো না করার জন্য৷ প্রতিটি এলাকায় ভ্যাকসিনের ক্যাম্প করার পাশাপাশি অসুস্থদের ডোর ডোর যাওয়া হয়েছিল৷ প্রতিটি এলাকার মানুষকে নিজেদের এলাকা থেকেই ভ্যাকসিন নেওয়ার জন্য পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল৷ তাই পুরো প্রক্রিয়াটাই কোনও গোলমাল হয়নি৷