মালদহ:-লাল সতর্কতা জারি করা হল মালদহ জেলা জুড়ে৷ সেচ দফতর সূত্রের খবর, জেলার তিনটি মূল নদী গঙ্গা, ফুলহার ও মহনন্দার জল রীতিমতো ফুঁসছে৷ বইছে বিপদসীমার ওপর দিয়ে৷ এদিকে আবহাওয়া দফতরের তরফে জানানো হয়েছে এখনই বৃষ্টি থামার সম্ভবনা নেই৷ সেক্ষেত্রে বিস্তৃর্ণ এলাকা নতুন করে বানভাসি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে৷
সেচ দফতর ও স্থানীয় সূত্রের খবর: বিগত ১৫দিন ধরে চলছে ভাঙন। নদীর ভাঙণ প্রবনতা সবচেয়ে বেশী কালিয়াচক ৩নং ব্লক এলাকায়। এই এলাকার প্রায় ৫০০মিটার জুড়ে অবিরাম ভাঙণ হচ্ছে। পার অনুপনগর, গোলাপ মণ্ডলপাড়া, চিনাবাজার, লালুটোলা, ভীমাটোলা সহ প্রায় দশটি গ্রাম ভাঙনে বিপদগ্রস্ত। এই এলাকার বাসিন্দাদের বসতবাড়ি, চাষের জমি সব তলিয়ে গিয়েছে গঙ্গার গর্ভে। প্রায় দু’শতাধিক বাড়ি গঙ্গার গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। প্রায় এক হাজারের বেশী বাসিন্দা আজ সব হারিয়ে খোলা আকাশের নীচে বসবাস করছেন।
সেচ দফতর সূত্রের খবর, এই এলাকায় ভাঙণ রোধের কাজের দায়িত্বে কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনস্থ ফরাক্কা ব্যারেজ কর্তৃপক্ষ। কিন্তু এই সংস্থা ভাঙন প্রতিরোধে কোনও ব্যবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ। অন্যদিকে রাজ্যের সেচদপ্তর মাটির বস্তা ফেলে প্রতিরোধ করার চেষ্টা করছে। কিন্তু গঙ্গার বিপুল জলরাশিকে মাটির বস্তা দিয়ে রোখা সম্ভব হচ্ছে না। ফলে ভিটে মাটি হারিয়ে এলাকারবাসীর একমাত্র আর্জি, ভাঙণ রোধে স্থায়ী সমাধানের জন্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহন করুক।
বাসিন্দাদের কথায়, বছর যায় বছর আসে৷ ফি বারই বানভাসি হয় এলাকার পর এলাকা৷ প্রতিবারই বাঁধ মেরামতির আশ্বাস মেলে কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়না৷ তাই অবিলম্বে বাঁধ মেরামতির বিষয়ে প্রশাসন প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ না করলে এলাকায় এলাকায় বৃহত্তর আন্দোলন সংগঠিত করার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বাসিন্দারা৷