নিউইয়র্ক: মার্কিন ২ সংস্থার করোনাভাইরাস ভ্যাকসিন সংক্রান্ত খবরে আশার আলো দেখেছিল বিশ্ববাসী। কারণ ফাইজার এবং মডার্না সংস্থা জানিয়েছিল তাদের করোনাভাইরাস ভ্যাকসিন ৯০ শতাংশের বেশি কার্যকরী। কিন্তু সদ্য যে খবর মিলেছে তাতে জানা গিয়েছে বস্টনের এক চিকিৎসক মডার্নার করোনাভাইরাস ভ্যাকসিন নিয়ে গুরুতর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় ভুগছেন। এই খবর নতুন করে উদ্বেগ বাড়িয়ে দিল গোটা বিশ্বে।
বচ্চনের ওই চিকিৎসক হোসেন সাদযাদে জানাচ্ছেন, কর্ণ ভাইরাস ভ্যাকসিন নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তার হৃদযন্ত্রের গতি অদ্ভুত ভাবে বেড়ে যায় এবং তিনি প্রচন্ড ক্লান্ত অনুভব করতে শুরু করেন। বস্টন মেডিকেল সেন্টারের ওই চিকিৎসকের এই পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়ার খবর ছড়িয়ে পড়তেই আমেরিকার এই সংস্থার করোনাভাইরাস ভ্যাকসিন নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে দিয়েছে। কারণ এই প্রথম এই সংস্থার ভ্যাকসিনের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার খবর সামনে এসেছে। এতদিন ধরে মার্কিন এই সংস্থা যা পরীক্ষা চালিয়েছে সেই সংক্রান্ত ব্যাপারে জানিয়েছে যে এই ভ্যাকসিন ৯০ শতাংশের বেশি কার্যকরী এবং কোনো পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই। তবে বচ্চনের এই চিকিৎসকের ঘটনা স্বাভাবিকভাবে আতঙ্ক এবং আশঙ্কা দুই বাড়াচ্ছে।
বস্টন মেডিকেল সেন্টারের তরফে জানানো হয়েছে, যে চিকিৎসককে এই করোনাভাইরাস ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছিল তার সঙ্গে সঙ্গে এলার্জিক পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া শুরু হয়ে যায়। তাকে সঙ্গে সঙ্গে এমার্জেন্সি বিভাগে নিয়ে গিয়ে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছিল এবং সাময়িক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়। এখন তিনি অনেকটাই সুস্থ আছেন বলে দাবি করা হয়েছে। উল্লেখ্য, মডার্না এর আগে জানিয়েছিল যে, তাদের তৈরি করোনাভাইরাস ভ্যাকসিন ৯৪ শতাংশ কার্যকরী! এতে দ্রুত ভ্যাকসিন পাওয়ার আশা আরো একটু বেড়েছিল বৈকি। মার্কিন সংস্থা জানিয়েছিল, কমপক্ষে ৩০,০০০ স্বেচ্ছাসেবকের উপর এই ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা হয়েছিল। তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালের ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া পাওয়া গিয়েছিল স্বেচ্ছাসেবকদের কাছ থেকে। আরো জানা গিয়েছিল, যে কয়েকজনকে এই ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছিল তাদের মধ্যে ১১ জনের অবস্থা একটু বেশি খারাপ ছিল। কিন্তু এই ভ্যাকসিনের ফলে কোনো রকম পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয়নি, হলেও খুব স্বল্প মানের।