কলকাতা: রাজ্য জুড়ে বেড়ে চলেছে নারী নির্যাতন৷ তারই প্রতিবাদে পথে নেমে আন্দোলন করতে গিয়ে পুলিশের মার খেলেন বিজেপির মহিলারা৷ লক্ষ্মীবারে তারই জেরে তপ্ত হয়ে উঠল বাঁকুড়া থেকে হুগলি, দক্ষিণ চব্বিশ পরগণা৷ জেলায় জেলায় কার্যত রণক্ষেত্রর পরিস্থিতিও তৈরি হয়৷ হুগলির চুঁচড়া ও দক্ষিণ ২৪ পরগণার বারুইপুরে রীতিমতো লাঠিচার্জের অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে৷
বাঁকুড়ার শালতোড়ার বিজেপি বিধায়ক চন্দনা বাউড়ি বলেন, ‘‘আগে থেকে কর্মসূচি জানানো হয়েছিল পুলিশকে৷ তারপরও শান্তিপূর্ণ কর্ণসূচি বানচাল করা হল৷ অথচ যাঁরা দিনের পর দিন নারী নির্যাতন করে চলেছেন পুলিশ তাঁদেরকে আড়াল করছে৷’’ একই সঙ্গে তিনি অভিযোগ করেন, ‘‘ভোট পরবর্ত্তী সময়ে মহিলাদের উপর অত্যাচার বেড়েই চলেছে। ভোটের আগে পুলিশি সহায়তা মিললেও ভোটের পর তা একেবারেই মিলছে না। নারী সুরক্ষা ও সম্মান রক্ষার বিষয়ে আন্দোলণের পাশাপাশি বিধানসভাতেও বিষয়টি জানাব৷’’
গত শনিবার রাতে বাগনানের সক্রিয় বিজেপি কর্মীর পক্ষাঘাতগ্রস্ত স্ত্রীকে ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান সহ পাঁচজন নেতার বিরুদ্ধে৷ ওই ঘটনায় আসল অভিযুক্তদের আড়াল করে অন্য লোককে গ্রেফতার করার গুরুত্র অভিযোগ তুলেছিলেন শুভেন্দু৷ নারী নির্যাতনের প্রতিবাদে সরব হয়েছেন বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা পলও৷ তাঁর অভিযোগ, ‘‘প্রতিটি ক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে শাসকদলের লোকেরা অভিযুক্ত হওয়ায় পুলিশ পদক্ষেপ নিচ্ছে না৷ তারই জেরে রাজ্যে বেড়ে গিয়েছে নারী নির্যাতনের ঘটনা৷ বিশেষত ফলাফল প্রকাশের পর থেকে নির্যাতনের সংখ্যা বেড়ে গিয়েছে৷’’
এরই প্রতিবাদে এদিন রাজ্য জু়ড়ে আন্দোলনে নামে বিজেপির মহিলা মোর্চা৷ এদিন মহিলা মোর্চার সদস্যরা বাঁকুড়া শহরে মিছিল করে পুলিশ সুপারের অফিসের দিকে এগোলে বিশাল পুলিশ বাহিনী তাঁদের পথ আটকে দেয়। পুলিশের বিরুদ্ধে জোর করে কর্মসূচি বানচাল করার অভিযোগ উঠেছে বারুইপুর এবং চুঁচড়াতেও৷ দুটি ক্ষেত্রেই পুলিশকে মারমুখি মেজাজে দেখা গিয়েছে বলে অভিযোগ৷